নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২১ জুলাই) :: পেকুয়ায় ভাড়া নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। এতে করে সিএনজি চালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। যার নং ০৬/১৭। উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের লালজানপাড়া এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে নুরুচ্ছফা বাদী হয়ে ওই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় একই এলাকার আবছার আহমদের ছেলে শহর আলী। একই মামলায় নিজ ভাতিজাসহ নিকট আরো ৩ জন আত্মীয়কে আসামী করা হয়েছে।
এ দিকে পৃথক বিষয়ে বাদী অপর আরেকটি মামলা দায়ের করে আসামীদের বিরুদ্ধে। গত ১০ জুলাই চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করে। যার নং-৮৯৩/১৭। ওই মামলার বাদীও একই ব্যক্তি।
প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, ভিসা সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে নুরুচ্ছফার সাথে জিআর মামলার ৪ নং বিবাদী জালাল হোসেনের পিতা আহমদ শফির মধ্যে বিরোধ চলছিল। তারা পরষ্পর নিকট আত্মীয়।
বিগত ৩ বছর আগে জালাল হোসেনকে লিবিয়া পৌছানোর কথা বলে ৪ লক্ষ বিশ হাজার টাকা নেয় নুরুচ্ছফা। স্বপ্নের দেশ লিবিয়া যাওয়া অনিশ্চিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত লেনদেনকৃত টাকা ফেরত চান তার পিতা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিকবার বাকবিতন্ডা হয়। সম্প্রতি সামাজিক বৈঠকের দিনক্ষন ধার্য্য করা হয়েছে।
সুত্র জানিয়েছে গত ১৩ জুলাই দুপুরে ভাড়া নিয়ে সিএনজি চালক শহর আলীর সাথে যাত্রী নুরুচ্ছফার বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় দু’জনের উত্তেজনা প্রশমিত করেন অপর যাত্রীরা। ওই ঘটনাকে অতি রঞ্জিত করতে নুরুচ্ছফা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। গত ১৭ জুলাই থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে। আসামীদের মধ্যে একজন ছাড়া অবশিষ্ট ওই স্থানে অনুপস্থিত ছিলেন।
এদের মধ্যে ৩ নং বিবাদী হুমায়ুন আলী ১টি কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে তিনি মার্কেটিংএ ছিলেন। ৪ নং বিবাদী জালাল হোসেন ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে পেকুয়া চৌমুহনীতে সালিশী বৈঠকে ছিলেন। মহিউদ্দিন ভ্যানচালক। তিনিও এলাকার বাইরে ছিলেন।
এ ব্যাপারে জালাল হোসেনের পিতা আহমদ শফি জানায়, টাকা আত্মসাৎ করতে নুরুচ্ছফা মামলায় জর্জরিত করছে আমাদের। আমার ছেলেরা নির্দোষ। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি মামলা দায়ের করে। এ দুটি মামলা মিথ্যা ও ফাঁসানো। নুরুচ্ছফা আক্রান্ত নন। হাসপাতালে দেখিয়েছেন ভর্তি। কিন্তু বাড়িঘরে অবস্থান নিয়েও তিনি নাটকীয় ভাবে আহত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার এস,আই বিপুল চন্দ্র রায় জানান, আমি তদন্তভার পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কোন নিরীহ ব্যক্তিকে মামলায় জড়ানো হলে তাকে আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।
Posted ৭:৩৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta