মো: ফারুক,পেকুয়া(২১ জুলাই) :: কক্সবাজার জেলা কমিটি কর্তৃক শীঘ্রই পেকুয়া উপজেলা যুবদলের কমিটি ঘোষনা করার কথা নেতাকর্মীদের মধ্যে চাওর হয়েছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার ভাব লক্ষ্যে করা যাচ্ছে।
নেতাকর্মীদের মাঝে একটা প্রশ্ন কে হচ্ছে সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব। তৃণমূল যুবদলের নেতাকর্মীদের মাঝে এ আলোচনার ঝড় ওঠেছে।
ইতিমধ্যে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের নেতারা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্তি হয়ে কমিটির জন্য শিলংয়ে অবস্থানকারী সালাউদ্দিন আহমেদ ও জেলা কমিটির ধারস্ত হচ্ছে।
তবে এ কমিটি শিলংয়ে অবস্থিত বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ যাকেই মনোনীত করবেন তাকেই উক্ত পদে আসীন করবেন জেলা কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পেকুয়া উপজেলা যুবদলের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৪ বছর আগে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সম্মেলন হয়।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজুকে সভাপতি হিসাবে মনোনীত করে।
পরে সম্মেলন শেষের কিছুদিন পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কক্সবাজার জেলা যুবদল। সভাপতি শাফায়েত আজিজ রাজু, সম্পাদক জেড এম মোসলেহউদ্দিন, ছাত্রনেতা ইউসুফ রুবেলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
এ তিনজনের কমিটি উপজেলা যুবদলের কার্যক্রম চালালেও তাদের ভিতরে দেখা দেয় মতপ্রার্থক্য। যার কারণে বিগত কয়েক বছরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করতে না পারায় জেলা কমিটি ওই তিনজনের কমিটি ভেঙ্গে দেয়। বেশ কয়েকমাস যুবদলের কমিটি বিহীন থাকে পেকুয়া উপজেলা যুবদল।
সদ্য জেলা কমিটি বিভিন্ন মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষনা করার কথা বললে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা তৎবীর শুরু করে। এবং সালাউদ্দিন আহমেদের কাছেও বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের প্রার্থীতা ঘোষনার কথা প্রচার করেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এ কমিটির সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব হতে সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক, সাবেক উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুপ রুবেল, সদর পূর্বজোন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মাহাবুবুল করিম, যুবদলের সাবেক নেতা মো: ইসমাঈল, সেচ্ছাসেবকদলের সাবেক আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, এডভোকেট জেড এম মিনার, জেলা যুবদলের সদস্য মাহামুদুল করিমসহ আরো কয়েকজন নাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে তাদের সমর্থকরা। দলীয় নেতাকর্মীরাও অনেকটা সরগরম। একেক জনের সমর্থকেরা একেকভাবে পোষ্ট করে যাচ্ছেন তাদের অনুগত নেতাদের পক্ষে প্রচারণা চলছেই।
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যুবদলের হাল ধরতে তাদের ত্যাগ এর কথা তুলে ধরা হচ্ছে। জেল জুলুমের কথা বলা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। তবে যেই যাই বলুক সালাউদ্দিন আহমেদের ইশারা যার দিকে সেই হবে উপজেলা যুবদলের নেতা। তবে ষ্পষ্ট গ্রুপিংও রয়েছে যুবদলের দু’টি গ্রুপে। বিভিন্ন সময় একে অপরের প্রতি কাঁদাছুটাছুটি প্রকাশ্যে।
ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে বলেন,ত্যাগি নেতাদেরই মূল্যায়ন করবেন সালাউদ্দিন আহমেদ। যারা অতীতে জেল জুলুমের ভয় না করে পেকুয়ার মাঠ দখলে রেখেছিল। তাদের আশা নতুন নেতৃত্ব ওঠে আসবে যুবদলে।
উপজেলা যুবদলের সাবেক অনেক নেতা বলেন, দলের প্রয়োজনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশে জেলা কমিটি, পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র বাহাদুর শাহ এবং মো: ইকবাল মিলে উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করবেন। তারাই যাকে নেতা মনোনীত করবেন তারাই উপজেলা যুবদলের কান্ডারী।
Posted ১১:০০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta