নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৩১ আগস্ট) :: পেকুয়ায় রাতেই ছেড়ে দেয় জব্দকৃত গাড়ি। মোটা অংকের উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ করেছেন পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে স্বামী স্ত্রী দম্পতি। গত ২৯ আগষ্ট গভীর রাতে পেকুয়া থানা থেকে জব্দকৃত একটি পিকআপ ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
মাসিক ২৩ হাজার টাকায় একটি পিকআপ ভাড়া দেয় মালিক। ২০১৪ সাল থেকে চলতি মাস পর্যন্ত চালক ভাড়া পরিশোধ করেন নি। এমনকি মালিকের পিকআপটিও হস্তান্তর করেনি।
এ নিয়ে চালকের সাথে মালিকের দুরত্ব তৈরী হয়। চালক মালিকের গাড়ীটির অস্তিত্ব বিলীন করে অপর একটি গাড়ী চালাচ্ছিলেন। মালিক এ বিষয়ে পেকুয়া থানায় প্রতারক চালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়। পুলিশ চালকের অপর একটি পিকআপ থানায় জব্দ করে।
এমনকি মালিকের পিকআপ ও পিকআপের ভাড়ার প্রাপ্ত টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত জব্দকৃত গাড়ীটি পুলিশের জিম্মায় থাকবে।
অভিযোগ উঠেছে, পেকুয়া থানার পুলিশ কর্মকর্তা শিমুল বড়–য়া ওই দিন রাতে জব্দকৃত গাড়িটি ছেড়ে দেন।
প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা এলাকার বজল আহমদের ছেলে জয়নাল আবদীনের মালিকানাধীন টাটা মডেলের পিকআপ যার নং চট্রমেট্রো-ন-১১-১৬৭১ গাড়ীটি মাসিক ২৩ হাজার টাকায় চালাচ্ছিলেন মহেশখালী কালামার ছড়ার উত্তর নলবিলার মৃত সিকদার আলীর ছেলে আক্তার কামাল। ওই ব্যক্তি পেশায় গাড়ি চালক। এ সুবাধে জয়নাল তাকে গাড়ীটি ভাড়ায় চালাতে দেয়।
২০১৪ সাল থেকে চালক মালিককে ভাড়া পরিশোধ করেননি। এমনকি জয়নালের গাড়ীটি গোপন করে ফেলেন ওই ব্যক্তি। চালক আক্তার কামাল অন্য একটি গাড়ী চালাচ্ছিলেন। জয়নাল অনেক দিন ধরে তাকে খুজছিলেন। সম্প্রতি পেকুয়া থেকে গাড়ীটি জব্দ করে পুলিশ। যার নং চট্রমেট্রো-ন-১১-২২২৭।
জয়নাল আবদীন পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত ছিল মালিকের খোয়া হয়ে যাওয়া গাড়ীটি মালিককে ফেরত দেবে। এমনকি বকেয়া ভাড়ার সমুদয় অর্থ মালিককে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত বিষয়টি অমিমাংসিত থাকবে এবং অভিযুক্ত গাড়ীটি পুলিশের হেফাজতে থাকবে।
জয়নাল জানায়, পুলিশ আমার সাথে অন্যায় করেছে। গাড়ীটি জব্দ করা হয়েছিল। আমাকে আইনী সহায়তা দেয়ার কথা ছিল পুলিশের। কিন্তু টাকার বিনিময়ে গভীর রাতে গাড়ীটি ছেড়ে দেয়। আমি এ বিষয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উর্ধতন মহলে নালিশ করব। আমার অভিযোগের বিষয়টি কোন সুরাহা হয়নি। কিন্তু রহস্যজনক কারনে পুলিশ কেন গাড়ীটি ছেড়ে দিলেন।
জয়নালের স্ত্রী জানায়, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এসপি স্যার ও সার্কেল স্যারের ওখানে যাওয়ার। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার কর্মকর্তা শিমুল বড়–য়া জানায়, বিষয়টি আমি সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। গাড়ীটি চালকের নয়।
Posted ১:১৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta