নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৬ ডিসেম্বর) :: পেকুয়ায় পরিসমাপ্তি ঘটল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ২০১৭ এর। ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ৭ দিন ব্যাপী বিজয় মেলার শেষ হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে শুভ সুচনা হয়েছে পেকুয়ায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। শহীদ জিয়াউর রহমান উপকুলীয় কলেজ মাঠে মেলা চলছিল।
মঙ্গলবার পর্দা নামল মেলার। সমাপনী দিনে বিজয় মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের মেলায় স্মৃতিচারন হয়েছে। সন্ধ্যায় স্মৃতিচারন সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদযাপন কমিটি পেকুয়ার চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ নেতা এস,এম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আ’লীগ নেতা ও বরইতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া।
এ সময় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার ছাবের আহমদ, মুক্তিযুদ্ধা ও টইটং এর সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন আহমদ, উপজেলা আ’লীগ নেতা শহিদুল্লাহ বিএ, এমকম কামাল, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ পেকুয়া উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু, জাতীয় শ্রমিকলীগ পেকুয়ার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এস,এম শাহাদাত হোসাইন, সাবেক ছাত্রনেতা সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মাষ্টার হানিফ চৌধুরী, আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর সাত্তার প্রমুখ।
এদিকে পেকুয়ায় এ প্রথম বিজয় মেলা অনুষ্টিত হয়। মেলা নিয়ে অনেক সংশয় ও জল্পনা কল্পনা ছিল। দীর্ঘ সময় থেকে একটি বিজয় মঞ্চ মঞ্চায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির প্রত্যাশা ছিল।
এ বছর বিজয় মেলা অবশেষে আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন আলোচনা সমাবেশ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বীর বাঙ্গালীর অকুতোভয় সংগ্রাম ও একটি মানচিত্রের জন্য জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের ত্যাগ ও আত্মাহুতিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করা হয়েছে। একইভাবে বাঙ্গালী জাতির মহান অর্জন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জাতিস্বত্তা ও স্বাধীনতা অর্জন নিয়ে স্মৃতিচারন করা হয়েছে।
প্রতিদিন বিকেলে বিজয় মঞ্চে সাংস্কৃতিক মঞ্চস্থ হয়। দেশাত্মবোধক সংগীত বিশেষ করে দেশ ভাগের সময় যে সব কালজয়ী সংগীত বাঙ্গালী জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত ও প্রেরনা যুগিয়েছিল সে সব গান পরিবেশন হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রতিভাবান শিল্পী গান পরিবেশন করেছেন। একইভাবে আয়োজনকে উচ্ছাস ও প্রানবন্ত করতে বেশ কিছু অতিথি শিল্পী বিজয় মঞ্চ থেকে গান পরিবেশন করেছেন।
পেকুয়ার প্রশাসন বিজয় মেলায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। যে কোন ধরনের নাশকতা কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ বিজয় মঞ্চে অবস্থান নিশ্চিত করে। আয়োজক কমিটি চৌমুহনী এবিসি সড়ক ও বিজয় মেলার স্থানে সিসি ক্যামরা স্থাপন করে। কন্ট্রোল রুম থেকে এ সব পর্যবেক্ষন হয়েছে।
বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির পেকুয়ার চেয়ারম্যান এস,এম গিয়াস উদ্দিন জানায়, ৭ দিনের মেলার পরিসমাপ্তি হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মেলা আয়োজনে পেকুয়াবাসী আমাদেরকে মুল্যায়ন করেছে। শৃংখলা রক্ষাসহ যারা নৈতিক সমর্থন করেছে তাদের কাছে ঋণী। আমরা সৃষ্টি করেছি এটিকে ধারন করতে হবে ভবিষ্যত প্রজন্মকে।
Posted ১:১৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta