
নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(২৬ আগষ্ট) :: পেকুয়ায় সাবেক চেয়ারম্যানের একটি রান্না ঘর রহস্যজনক আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনের সুত্রপাত নিয়ে সন্দেহের অবতরনা দেখা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুসল্লিরা মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচন্ড বিকট দুটি শব্দ হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছনের ছাউনি ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
শনিবার সন্ধ্যা মাগরিবের সময় উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
বাড়িটির মালিক মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোহাম্মদ খাইরুল এনাম বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন মাগরিবের সময় হঠাৎ আগুন লেগে যায় ওই রান্না ঘরে। স্থানীয়রা দ্রুত ওই স্থানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। আগুন তীব্রতর হওয়ায় নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয় নি।
স্থানীয়রা জানায়, আগুনের সুত্র পাত নিয়ে আমদের মাঝে সন্দেহ তৈরী হয়েছে। নুনু মিয়া, আবুল হাসেম বাদশা, মনির আলম, আবদুল খালেকসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুসল্লিরা মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন।
এ সময় রান্নাঘরের পিছন দিয়ে একজন লোককে যেতে দেখেছে স্থানীয়রা। তবে লোকটি কে সনাক্ত হওয়া যায়নি। আমাদের ধারনা ওই লোকটি কোন দাহ্য পদার্থ বিস্ফোরন ঘটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি নাজেম উদ্দিন জানায়, একজন লোককে হেটে যেতে দেখেছে। মাগরিবের পর অন্ধকারের মধ্যে লোকটিকে চেনা যায়নি। দুটি বিকট আওয়াজ হয়েছে। এ সময় মুসল্লিরা দ্রুত মসজিদ থেকে বের হন। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা যায়নি।
অভিবক্ত মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি খাইরুল এনাম জানায়, বৈদ্যুতিক সংযোগ এসেছে রান্না ঘরটির পুর্ব পাশ দিয়ে। আগুন লেগেছে পিছনে পশ্চিম দিক দিয়ে। সেটিতে এখন রান্না হচ্ছে না। আমি পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে থাকি। এখানে থাকে আমার মা। মুল ঘরের বারান্দায় রান্না চলে গ্যাসের চুলায়। ঘরটি পরিত্যক্ত।
আমাকে বলা হয়েছে, দুটি আওয়াজের কথা। অনেকে বলছেন, বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে নাশকতাও হতে পারে। বিষয়টি প্রশাসনকেও অবহিত করেছি।

Posted ১০:০২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta