মো: ফারুক,পেকুয়া(১৮ জুন) :: পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে চৌমহুনী মোড়ে জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও সিএনজি শ্রমিকরা বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেছে। ছাত্রকে সিএনজি শ্রমিক কর্তৃক মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশ, শিক্ষার্থীসহ ৮ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, ১০ম শ্রেনীর ছাত্র মো: ইলিয়াস, ৯ম শ্রেনীর ছাত্র অপি, সাজ্জাদ ও ছোটন, ৮ম শ্রেনীর শাহেদ, ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্র তারেক ও সাংবাদিক জুবাইদ। ওই সময় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
১৮ জুন রবিবার সকাল ১১টায় চৌমহুনীস্থ চৌরস্তা মোড় ও স্কুল মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্কুল কেবিনেট চেয়ারম্যান মো: রাশেদ জানান, ১৭ জুন দুপুরে স্কুল শেষ করে ছাত্র সাজ্জাদ পেকুয়া চৌমহুনীতে একটি সিএনজিতে ওঠে। টইটং হাজ্বি বাজার যাওয়ার পর সিএনজি ড্রাইভারের সাথে ওই ছাত্রের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই সিএনজি ড্রাইভার স্কুল ছাত্র সাজ্জাদকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় সকাল ১১টায় স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা মিলে ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদে চৌমহুনী মোড়ে অবস্থান নেন। ওই সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেকুয়া থানার ওসি(তদন্ত)মনজুর কাদের মজুমদারের নেতৃত্বে এসআই কামরুল হাসানসহ একদল পুলিশ সিএনজি শ্রমিকদের সাথে নিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করতে করতে স্কুলের মূল ভবনের মাঠে গিয়েও শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে ৮/১০জনকে আহত করে। এমনকি ২শিক্ষার্থীকে মাঠিতে পেলে পা দিয়ে চাঁপা দিয়ে আহত করে।
প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন পুলিশের এমন ভুমিকার প্রতিবাদ করায় তাকেও পুলিশের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের নেতা মো: বারেক ঘটনাস্থলে এসে দোষী শ্রমিকের বিচার করার আশ্বাস প্রদান করেন।
জানা গেছে, স্কুল শিক্ষার্থীরা রাস্তার মোড়ে প্রতিবাদ শুরু করলে পরিচালনা কমিটির সদস্য এম শাহনেওয়াজ এমইউপি ও ইসমাঈল সিকদার ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শাহনেওয়াজ এর ভুমিকা ছাত্রদের পক্ষ থাকলেও ইসমাঈল সিকদারের ভুমিকা ছাত্রদের বিপক্ষে ছিল বলে অনেকে জানান। তবে ছাত্রদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের কথা স্বীকার করেন ইসমাঈল সিকদার বলেন, পুলিশ ছাত্র ও সিএনজি শ্রমিকদের এ ঘটনা সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
সাংবাদিক জুবাইদ জানান, সকালে স্কুল শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় আমি ছবি ওঠাইতে গেলে ওসি তদন্ত মনজুর কাদের মজুমদার আমাকে অহেতুক মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে এসআই কামরুল হাসানসহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে আমার কাছ থেকে ক্যামরা ও মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, চৌমহুনী মোড়ে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা গাড়ি চলাচলে বাঁধা প্রদান করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলি। তা না করায় পুলিশের উপর ছাত্ররা হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশও লঠিচার্জ করে। এ সময় তাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। তবে সাংবাদিক জুবাইদকে পুলিশের পক্ষ থেকে হেনস্থা করায় দু:খ প্রকাশ করছি।
Posted ১০:৩৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta