বিশেষ প্রতিবেদক(১৪ আগষ্ট) :: কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ও পেকুয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার তিন ভাইকে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছেন তাদের পিিরবার।
আজ সোমবার ১৪ আগষ্ট দুপুরে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রোমানা আক্তার পরিবারের পক্ষে এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান ‘ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী মীর কাশেম আলীর দোসর সাবেক শিবির ক্যাডার ও বর্তমান বিএনপির নেতা স্থানীয় মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম র্যাবকে ম্যানেজ করে পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার নাটক সাজিয়েছে। গত ১৩ আগষ্ট ভোরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুবে র্যাব সদস্যরা।
এসময় তারা নিজেরা অস্ত্র ও ইয়াবা বের করে জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাইদের কাছ থেকে পেয়েছে দাবি করে তাদের গ্রেফতার করেন। যাওয়ার সময় তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে এবং স্বর্নলংকার নিয়ে যায়।
এমন কি বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী পালন করার জন্য রাখা টাকাসহ ১৭ লাখ টাকা নিয়ে যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারি সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নিরাপরাদ মানুষদের রেহায় দেয়ার দাবি জানান।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম,সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী এবং জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদু ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম অল্প সময়ে এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার নেতৃত্বের কাছে অনেকে ধরাশায়ী হবে এই আশংকায় দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন-‘ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে র্যাব দিয়ে আমি হয়রানি করেছি এমন অভিযোগ হাস্যকর ও অবান্তর। জাহাঙ্গীর আলম একজন জননন্দিত নেতা ও জনপ্রতিনিধি।
র্যাব একটি সরকারি সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করতে চাইনা। তবে এমন সম্মানিয় ব্যক্তি ও তার পরিবারকে এমন করে হেনস্থা করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রহস্য বের করা হোক।’
উল্লেখ্য গত ১৩ আগষ্ট ভোরে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম এবং তাঁর চার ভাই আলমগীর, মো. আজম, মো. কাইয়ুম ও ওসমান সরওয়ার বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় জাহাঙ্গীরের বসতঘর থেকে দুইটি দেশে তৈরি কাটা বন্দুক, একটি লম্বা বন্দুক, ১০ রাউন্ড গুলি, একটি ইয়াবার প্যাকেট ও ১৭ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। বেলা ৩ টার দিকে তাদের চকরিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।উদ্ধারকৃত টাকা পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য থানায় জমা দেয়া হয়। আর ছেড়ে দেয়া হয় জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই ওসমান সরওয়ার বাপ্পীকে।
Posted ৫:১২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৪ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta