কক্সবাংলা রিপোর্ট(২০ জানুয়ারি) :: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ আবারো তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, ফেরত যাওয়ার আগে সেখানে (মিয়ানমার) রোহিঙ্গারা নিরাপদ কিনা তা ভাবতে হবে। এছাড়া প্রত্যাবাসন হতে হবে রোহিঙ্গাদের ইচ্ছায়।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফানি ডুজারিক জাতিসংঘ সদরদপ্তরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের অংশ হিসেবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ তাদের নির্ধারিত করে দিতে পারবে না। প্রত্যাবাসনে প্রত্যেক রোহিঙ্গার মিয়ানমার যাওয়াটা তাদের (রোহিঙ্গা) ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে।
স্টিফানি ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সেখানে ফেরত যেতে সমর্থ হতে হবে। আমি মনে করি, তাদের এটা বিশ্বাস করতে হবে যে সেখানকার পরিস্থিতি নিরাপদ রয়েছে।
এদিকে গত শুক্রবার মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর মধ্যেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করেছে।
অপরদিকে একইদিন (শুক্রবার) মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির রাখাইন রাজ্যের মংটো এলাকা পরিদর্শন করেছে। যেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ঘড় বাড়ি তৈরি করেছে দেশটি।
গত মঙ্গলবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ওই চুক্তি অনুসারে আগামী ২৩ জানুয়ারি অথবাফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা।
তবেরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হলেও বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত যেতে দুই বছর সময় লেগে যাবে।
মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ৫৫হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্যানুসারে, মিয়ানমারের এই জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কারণে দেশের প্রায় ছয় হাজারএকর বনভূমি নষ্ট হয়েছে।
যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৭৪১.৩ কোটি টাকা বা ৮৬.৭ মার্কিন ডলার।
এর আগেও গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির ইউনিয়ন মন্ত্রী কিয়াউ টিন্ট সোয়ে মিয়ানমারের স্টেটকাউন্সিলের সরকারি কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আন্তর্জাতিক শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন ইউএনএইচসিআর বলছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী।
আর এই সমস্যা সমাধানের আলোচনায় রোহিঙ্গাদেরও রাখতে হবে।
Posted ১:২১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta