কক্সবাংলা ডটকম(৩ জুলাই) :: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও এবার ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে একদম নতুন চেহারার এক দল নিয়ে এসেছিল জার্মানি। দলে বড় কোনো তারকা না থাকায় শুরুতে অনেকেই তাদের গোনায় ধরেনি।
কিন্তু সব সমীকরণ পাল্টে দিয়ে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম বয়সী দলটাই দারুণ ছন্দময় ফুটবল খেলে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জিতল জার্মানি। খেলার প্রথমার্ধে চিলির ডিফেন্সের ভুলে স্টিন্ডাল একমাত্র জয়সূচক হোলটি করেন।

শনিবার প্র্যাকটিসের পর চিলির ক্যাপ্টেন ব্রাভো বলেছিলেন,তাঁরা ভয়ডরহীণ ফুটবল খেলবেন৷ এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাক্তন বার্সা গোলকিপারের কথারই প্রতিফলন দেখা গেল৷ প্রথম ১৫ মিনিট পায়ে বলই ছোঁয়াতে পারেনি সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষকে চার গোল দেওয়া জার্মানি৷ চিলির আক্রমণের সামনে তখন কাঁপছে জার্মান রক্ষন৷
১৯ মিনিটে মারাত্মক ভুল করে বসেন চিলির ডিফেন্ডার মার্সেলো দিয়াজ৷ সেই ভুলের সুযোগ নিয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা৷ গোল করেন স্টিনডল৷ এই গোলই কাঁচা হয়ে বিঁধে যায় কোপা চ্যাম্পিয়নদের গলায়৷ এরপর ম্যাচে অজস্ব সুযোগ মিস করেন তারা৷
৷কোপা আমেরিকায় দুটি শিরোপাই চিলি জিতেছিল টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে। অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করে এবার খেলা ততদূর নিতেই পারেননি আলেক্সিস সানচেস-আর্তুরো ভিদালরা।
অন্যদিকে বি-টিম নিয়ে খেলতে আসা জার্মানি চিলির আক্রমণ আটকে রেখে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই শিরোপা জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে জার্মানি।

রবিবার চিলিকে হারিয়ে প্রথমবার কনফেডারেশন কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে জার্মানি৷ সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে লার্স স্টিনডলের একমাত্র গোলে আর্জেন্তিনা,ব্রাজিল,ফ্রান্সের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে জার্মানিও বিশ্বকাপ ও কনফেডারেশন কাপ জিতল৷ দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে আসা কোচ জোয়াকিম লো স্বভাবতই উল্লসিত দলের এই জয়ে৷
ম্যানুয়েল নয়ার,জেরোম বোয়েটাং,মেসুট ওজিল,টনি ক্রুসের মতো হেভিওয়েট তারকাদের বিশ্রাম দিয়েই কনফেডারেশন কাপ খেলতে এসেছিল জার্মানি৷ কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল ২০১৮ বিশ্বকাপের রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি রাখা৷ এই লক্ষ্যে সফল চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা৷ চিলির বিরুদ্ধে কষ্টসাধ্য জয় পেলেও ছেলেদের কৃতিত্বে খুশি কোচ লো৷
এই জয়ের পর তিনি বলেন,‘ আমি ছেলেদের জন্য গর্বিত৷ কারণ ওরা মাত্র তিন সপ্তাহই একসঙ্গে খেলেছে৷ এই অল্প সময়ের মধ্যেই ওরা যা করেছে সেজন্য আমি খুশি৷ ওরা প্রতিটা মুহূর্তে বুঝিয়েছে ওরা জয়ের জন্য কতটা ক্ষুধার্ত৷’
