আব্দুল হামিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি(১০ জুন) :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিনকে নাজেহাল ও মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা দায়ের গত ৯ জুন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন ইউনিয়নে সাপের ঘাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোজাহের আহমদের পুত্র মোঃ মনুর আলম।
স্থানীয়রা জানান, বিগত এক বছর যাবত মনুর আলম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম সরকারী জায়গা, রাস্তাঘাট দখল করে ময়লা আবর্জনা স্তুপ গড়ে তুলে। যার ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচলের জনগনের বিঘœ ও ময়লা আবর্জনা দূর্গন্ধে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারকে অভিযোগ আকারে জানালে বিষয়টি নিস্পত্তি জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন স্থানীয় লোকজন নিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী ও ময়লা আবর্জনা স্তুপ পরিস্কার করতে গেলে মনুর আলম ও তার ছেলে সহ ৪/৫ জন লোক লাঠিসোঠা নিয়ে ইউপি সদস্যের উপর চড়াও হয়ে উঠে।
এক পর্যায়ে মনুর আলম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ইউপি সদস্যকে হাতে থাকা কোদাল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।
উক্ত ঘটনায় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন বাদি হয়ে লামা থানায় গত ৭ জুন একখানা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে হুমকি ধমকি সহ নারী নির্যাতন মামলার মতন জঘন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাবেন বলে হুংকার দিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে ইউপি সদস্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে এই প্রতিবেদকের নিকট জানান। তাই তিনি বাকীদের গ্রেপ্তার ও নিজের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য মনুর আলম এলাকায় একজন ভয়ঙ্কর লোক। সে নিজের ক্ষমতা বলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গহীন বনে অবৈধ করাত কল গড়ে তুলে।
ইতিপূর্বেও অবৈধ করাত কলের বিষয়ে স্থানীয়, জাতীয় দৈনিক সহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও প্রশাসনকে ম্যানেজের মাধ্যমে সে বহাল তবিয়তে রয়ে যায়। যার কারণে ইউপি সদস্যের মত লোকজনকে মারপিত করা সাহস হয়েছে।
তবে মনুর আলম গ্রেপ্তারের পর থেকে এলাকাবাসী স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলে বলে অনেকেই জানান।
Posted ৫:০৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta