কক্সবাংলা ডটকম(২৮ মে) :: ১৬ নভেম্বর ২০১৩-এদিন চোখের কোণ ভিজে ওঠেনি এমন ভারতবাসী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ২২ গজের সাধনক্ষেত্রকে শেষবার প্রণাম করে ফিরে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সন্ন্যাসী রাজা।
২৬ মে সেই স্মৃতিই ফিরে এল ‘সচিন: দ্য বিলিয়ন ড্রিমস’ ছবির হাত ধরে। আর চোখের সামনে ফিরল ভারতীয় ক্রিকেটের সুবর্ণ যুগের বেশ কিছু মুহূর্ত।
যে মুহূর্তের পরতে পরতে রয়েছে মাস্টার ব্লাস্টারের কীর্তি। ক্রিকেট কেরিয়ারে তিনি দেশকে দিয়ে যাননি, এমন কিছু নেই। আর তাই তো তাঁকে মনের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে গোটা বিশ্ব। মুক্তি পেল সচিনের বায়োপিক যা প্রথম দিনেই ৮.৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
হিন্দি, মরাঠি, তামিল, তেলেগু ও ইংরেজিতে এই পাঁচটি ভাষায় ২,৪৫০টি পর্দায় মুক্তি পেয়েছে আ বিলিয়ন ড্রিমস। ছবির পরিবেশক অনিল থাডানি বলেছেন, যেভাবে সচিনের বায়োপিক ব্যবসা করছে তাতে তাঁরা খুশি। সিঙ্গল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্স-দুজায়গাতেই দর্শকের উৎসাহ দেখা যাচ্ছে ছবিটি ঘিরে।
ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তির জীবন, বলা ভাল সে রূপকথার আখ্যানই বড় পর্দায় তুলে এনেছেন পরিচালক জেমস এরস্কিন। ‘আজহার’ অথবা ‘এমএস ধোনি। দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বায়োপিকের মতো পরিচালক জেমস এরস্কিনের ছবিতে সচিনের ভূমিকায় কেউ আলাদা করে অভিনয় করেননি।
হয়তো প্রয়োজনই হয়নি। কারণ তিনি একাই একশো। তাই ডকুমেন্ট্রিতে মধ্যবিত্ত মারাঠি পরিবারের ক্রিকেটারের ‘ঈশ্বর’ হয়ে ওঠার কাহিনি পরিচালক বলিয়েছেন গোটা বিশ্বের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের মুখ দিয়ে।
হ্যাঁ, ছোটবেলার দুষ্টু, বেয়াদব সচিনকে ফুটিয়ে তুলতে অবশ্য খুদে অভিনেতাদের দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন তিনি। তবে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত পরিচালক ব্যবহার করেছেন সচিনের রিয়েল লাইফের বেশ কিছু দুর্মূল্য ছবি ও ভিডিও।
যেখানে দর্শকরা টাইম মেশিনে চড়ে পৌঁছে গিয়েছেন ১৮৮৯ সালে। যখন প্রথমবার দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন ১৬ বছরের সচিন। গ্যালারিতে বসে যেন আরও একবার বাইশ গজে তাঁর সুখ-দুঃখ, হাসি, ঠাট্টা, পরিশ্রমের কাহিনি দেখলেন তাঁরা।
Posted ২:১৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta