কক্সবাংলা ডটকম(২৪ আগষ্ট) :: কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত রাখাইন প্রদেশের পরামর্শমূলক কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে মিয়ানমারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কমিশন বুধবার (২৩ আগস্ট) এ প্রতিবেদন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কাছে হস্তান্তর করে এবং বৃহস্পতিবার তা সবার জন্য প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষা ও উভয় দেশের জন্য প্রযোজ্য এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া গত বছর এ বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, নাগরিকত্ব এবং এ বিষয়ে জাতীয় আইনের সীমাবদ্ধতা একটি বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মুসলিম সম্প্রদায়ের (রোহিঙ্গা) নাগরিকত্বের বিষয়টিও উদ্বেগের।
প্রতিবেদনে মিয়ানমার সরকার ১৯৮২ সালের নাগরিক আইন প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অধিবাসীদের যাচাই-বাছাই করে স্বল্প মেয়াদের জন্য নাগরিকত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া যাদের যাচাই-বাছাই হয়ে গেছে, তাদের অবিলম্বে সকল সুবিধা দেওয়ার জন্যও সুপারিশ করা হয়। এ সংক্রান্ত আইন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুনর্বিবেচনা করা, মুসলিমসহ অন্যরা যাতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে, এ বিষয়ে কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। বর্তমানে তিন লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা এদেশে অবস্থান করছে। রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের কোনও নাগরিকত্ব নেই এবং তারা সামাজিক কোনও সুবিধা পায় না। ১৯৮০ দশকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দলে দলে আসা শুরু করে।
এরপর ২০১২ সালে প্রচুর রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০১৬ সালে কফি আনানের নেতৃত্বে রাখাইন কমিশন গঠিত হয়। এর সদস্য ঘাসান সালামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চলতি বছর বাংলাদেশ সফর করেছিল।
Posted ১০:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta