কক্সবাংলা ডটকম(১৭ আগস্ট) :: বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশ করা ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন-২০১৬’ তে এ দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পত্তি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বৈষম্য অব্যাহত রেখেছে সরকার। এছাড়া সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোকে হামলা থেকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতেও ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলের ধর্মীয় স্বাধীনতার বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দুদের ওপর হামলা বেড়েছে। গত বছরের অক্টোবরে দেশের পূর্বাঞ্চলে শত শত গ্রামবাসী অর্ধ-শতাধিক হিন্দু পরিবারের ঘর-বাড়ি, ১৫টি মন্দির ভাঙচুর করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলামবিরোধী একটি পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ওই ভাঙচুর চালানো হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার কাছের একটি শহরে শত শত হামলাকারী লাঠি ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে ক্যাথলিকদের একটি দলকে মারধর করে। এছাড়া তাদের বাড়িঘর ও দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই ঘটনায় প্রায় ৬০ জন আহত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ এ ধরনের বেশকিছু ঘটনার দায়ভার স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। ধর্মান্তরিত ও শিয়াদের ওপরও হামলা চালিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধসহ সন্ত্রাসী হামলায় সাম্প্রতিক সময়ে মোট ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার কথাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ওই হামলায় দুই পুলিশসহ ২৪ জন নিহত হন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লগার হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারে বাংলাদেশের সরকার অনেক দূর এগিয়েছে। তবে অনেক কর্মকর্তা ব্লগার ও লেখকদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক লেখার অভিযোগ করেছেন।
Posted ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta