কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৯ মে) :: আমানতের সুদ ব্যয় কমে যাওয়ায় ও সুদবহির্ভূত আয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালে অধিকাংশ ব্যাংকেরই পরিচালন মুনাফা ভালো ছিল। তবে শুধু মুনাফা নয়, একটি ব্যাংক সার্বিক বিচারে ভালো না মন্দ করছে, তা পরিমাপে আন্তর্জাতিক কিছু মানদণ্ড রয়েছে। সম্পদের বিপরীতে আয় (রিটার্ন অন অ্যাসেট বা আরওএ), শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার বিপরীতে আয় (রিটার্ন অন ইকুইটি বা আরওই), শ্রেণীকৃত ঋণ (এনপিএল) অনুপাত, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস), মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত (ক্যাপিটাল অ্যাডেকোয়েসি রেশিও বা সিএআর) ও শাখাপ্রতি পরিচালন মুনাফা (ওপিবি) এগুলোর অন্যতম।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ও একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় প্রতি বছর সেরা ব্যাংকের তালিকা করে আসছে।
২০১৬ সালের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণের ফলাফলে দেখা গেছে, গতবার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন ব্যাংক এবার উঠে এসেছে শীর্ষ স্থানে। ১২তম স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। গতবার শীর্ষে থাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড নেমে গেছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। নিচের দিক থেকে ৩০ ও ২৯তম স্থানে অপরিবর্তিত রয়েছে যথাক্রমে আইসিবি ইসলামিক ও রূপালী ব্যাংকের অবস্থান।
সাতটি সূচকের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনে একেকটি ব্যাংকের জন্য মোট স্কোর ধরা হয়েছে ৭০। তালিকায় শীর্ষস্থানে থাকা ইস্টার্ন ব্যাংকের স্কোর ৩১ দশমিক ৬৫। শীর্ষ তিনে থাকা বাকি দুই প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলার অর্জিত স্কোর যথাক্রমে ৩১ দশমিক ৪ ও ৩১ দশমিক ৩৪। এর বাইরে সব ব্যাংকের স্কোরই ছিল ৩০-এর নিচে। ২০১৫ সালে অবশ্য ডাচ্-বাংলা (৪১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট) ছাড়া কোনো ব্যাংকই ৩০-এর ওপর পয়েন্ট পায়নি।
তালিকা তৈরিতে প্রতিটি সূচকের ভিত্তিমান ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০। প্রতিটি সূচকেই নির্দিষ্ট মান নির্ধারণের ভিত্তিতে পয়েন্ট হিসাব করা হয়েছে। যেমন আরওই ৩০ শতাংশের বেশি হলে তার জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। এভাবে আনুপাতিক হারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রাপ্ত মানের ওপর পয়েন্ট হিসাব করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ এ বছর শীর্ষস্থানে উঠে আসা ইস্টার্ন ব্যাংকের আরওই ১৩ দশমিক শূন্য ৮। এতে সূচকে ব্যাংকটির প্রাপ্ত পয়েন্ট দাঁড়ায় (১৩.০৮ঢ১০/৩০) বা ৪ দশমিক ৩৬। অন্য সূচকগুলোয়ও একইভাবে পয়েন্ট বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য সূচকের সর্বোচ্চ পয়েন্ট প্রাপ্তির জন্য মানদণ্ড ধরা হয়েছে আরওএ ৫, এনপিএল ১, সিএআর ২০ শতাংশ, ইপিএস ১৫ টাকা, শেয়ারপ্রতি এনএভি ১০০ টাকা ও শাখাপ্রতি পরিচালন মুনাফার ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকা। পরে সাতটি সূচকে মোট ৭০ পয়েন্টের মধ্যে ব্যাংকগুলোর প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ ব্যাংক নির্বাচন করা হয়েছে।
২০১৬ সালের নির্ধারিত সূচকগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে পেছনে ফেলে এক নম্বরে উঠে এসেছে ইবিএল। আগের বছর ২৮ দশমিক ৪৪ স্কোর নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ব্যাংকটি। ২০১৫ সালে শুধু ওপিবিতে এক নম্বরে থাকা ব্যাংকটি এবার মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাতেও শীর্ষে উঠে এসেছে। ইপিএস ও এনএভিপিএস বাদ দিয়ে হিসাব করলে উভয় বছরেই তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে তারা। কোনো একক নির্দেশকে সর্বোচ্চ নম্বরের কৃতিত্বটিও ইবিএলের দখলে। শাখাপ্রতি পরিচালন মুনাফার জন্য বরাদ্দ ১০ নম্বরের মধ্যে তাদের স্কোর ৭ দশমিক ৯৫, এক্ষেত্রে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাউথইস্ট ও দ্য সিটি ব্যাংকের স্কোর যথাক্রমে ৬ দশমিক ৮ ও ৬ দশমিক ৫৪। এর বাইরে মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাতেও সবার ওপরে ইবিএল। সিএআর বিবেচনায় আগেরবার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংককে হটিয়ে এবার শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংকটি। ২০১৬ সালে সিএআরে ইবিএলের পর পরই ছিল আল-আরাফাহ ও টাস্ট ব্যাংক। তিন প্রতিষ্ঠানই সিএআরে ৭-এর ওপর নম্বর পেয়েছে।
এদিকে ব্যবসা ও মুনাফায় উচ্চপ্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিটি নির্দেশকেই এগিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ইপিএসে দ্বিতীয় হওয়ার পাশাপাশি ২০১৬ সালে তারা আরওই ও আরওএতে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এসএমই ও রিটেইলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা এ ব্যাংক। ২০১৫ সালে এসব ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১০, ১৬ ও ১৪তম। শাখাপ্রতি পরিচালন মুনাফায় ব্যাংকটির অবস্থান ১২ থেকে ৪-এ উন্নীত হয়েছে। ইপিএস ও এনএভিপিএস বাদ দিয়ে হিসাব করলেও সম্মিলিত তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ২০১৫ সালে ব্যাংকটি সার্বিক বিবেচনায় ২৩ দশমিক ৫৮ নম্বর পেলেও এ বছর তা ৩১ দশমিক ৪-এ উন্নীত হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, গত বছর ব্র্যাক ব্যাংকের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় বছর ছিল। ৮০ শতাংশের বেশি মুনাফা প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি গেল বছর দেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে আমরা এসএমই ও করপোরেট লোনে প্রায় একই আকারের পোর্টফোলিও গঠন করেছি। বর্তমানে আমাদের লোন পোর্টফোলিওর ৪০ শতাংশ এসএমইতে, ৪০ শতাংশ করপোরেট এবং বাকি ২০ শতাংশ রিটেইলে। পরিচালন দক্ষতা, রেগুলেটরি ইস্যুর পাশাপাশি করপোরেট সুশাসনেও আমরা অত্যন্ত ভালো করেছি, যার সুফল দেখা গেছে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থার মধ্য দিয়ে। ব্যাংকের ৪০ শতাংশের বেশি শেয়ার তারা কিনে নিয়েছেন।
পরিশোধিত মূলধন তুলনামূলক কম হওয়ায় ইপিএস ও এনএভিপিএসে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও অন্য প্রতিটি নির্দেশকেই অনেক পিছিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এ কারণে ইপিএস-এনএভিপিএস বাদ দিয়ে তৈরি র্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান দাঁড়াবে ২২-এ। ২০১৫ সালে ব্যাংকটির সার্বিক স্কোর ছিল ৪১ দশমিক ১৪, সর্বশেষ বছরে যা ৩১ দশমিক ৩৪-এ নেমে এসেছে।
এক বছরের ব্যবধানে মোট স্কোর ২৭ দশমিক ৯৯ থেকে ২৯ দশমিক ৩-এ উন্নীত হলেও তালিকায় ৩ থেকে ৪-এ নেমে এসেছে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড। ২০১৫ সালে আরওএ তালিকায় শীর্ষে থাকলেও গেল বছর দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে ব্যাংকটি। তবে আরওই, এনপিএল ও ওপিবি টেবিলে এগিয়েছে তারা, বিপরীতে পিছিয়েছে সিএআর ও ইপিএসের প্রতিযোগিতামূলক তালিকায়।
দ্য সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আরকে হোসেন বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহারের দিক থেকে দ্য সিটি ব্যাংক দেশের শীর্ষ ব্যাংকের অবস্থানে আছে। উচ্চ ও মধ্যবিত্ত সমাজের কাছে সিটি ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিংয়ের পণ্যগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবা চালুর মাধ্যমে দ্য সিটি ব্যাংক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ টেবিলে এক ধাপ পিছিয়ে তিন নম্বরে নেমে এলেও অন্য প্রতিটি নির্দেশকেই অনেক এগিয়ে সেরা ব্যাংকের তালিকায় ১১ থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। আগের বছর ব্যাংকটির স্কোর ছিল ২৪ দশমিক ৬৩, যা ২০১৬ সালে ২৮ দশমিক শূন্য ৭-এ উন্নীত হয়।
ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ট্রাস্ট দেশের অন্যতম কমপ্লায়েন্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ট্রাস্ট ব্যাংক পণ্যে বৈচিত্র্য দিয়ে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। দিন দিন ব্যাংকটির আর্থিক ভিত শক্তিশালী হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় গত বছর ট্রাস্ট ব্যাংক প্রায় সবক’টি সূচকেই উন্নতি করেছে। আশা করছি, ট্রাস্ট ব্যাংক একদিন দেশের সেরা ব্যাংক হিসেবে সমাদৃত হবে।
বণিক বার্তার বিশ্লেষণে সেরাদের তালিকায় ৮ থেকে ৬ নম্বরে উঠে এসেছে ২০১৬ সালের রিটার্ন অন ইকুইটি চ্যাম্পিয়ন ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড। ওপিবি ও এনপিএল ছাড়া অন্য নির্দেশকগুলোর প্রতিযোগিতামূলক তালিকায় এগিয়েছে ব্যাংকটি।
সার্বিক স্কোরে আগের বছরের চেয়ে ১ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেশি পেয়ে তালিকায় ৯ থেকে ৭ নম্বরে উঠে এসেছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। আগেরবারও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল তাদের। মূলধন পর্যাপ্ততার টেবিলে আগেরবার শীর্ষে থাকলেও ২০১৬ সালে তাদের অবস্থান হয়েছে দ্বিতীয়। এর বাইরে কোনো সূচকেই পেছায়নি ব্যাংকটি। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান নিট স্কোর ২৬ দশমিক ৯৮।
এদিকে মোট স্কোর ২২ দশমিক ৩৯ থেকে ২৫ দশমিক ৩-এ উন্নীত হওয়ায় সেরা ব্যাংকের তালিকায় ১৬ থেকে ৮ নম্বরে উঠে এসেছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ ও মূলধন পর্যাপ্ততার প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ২০-এ জায়গা করে নিতে না পারলেও সম্পদের বিপরীতে আয়ে সবার ওপরে উঠে এসেছে প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংকটি।
আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ১৮ পয়েন্ট কম স্কোর নিয়েও সার্বিক তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে ১০ নম্বরে উঠে এসেছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। মূলধন পর্যাপ্ত ও খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়া অন্য কোনো নির্দেশকে পেছায়নি ব্যাংকটি। ২০১৬ সালে তাদের সার্বিক স্কোর দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫২।
স্কোর ও র্যাংকিং উভয় ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় পিছিয়ে এবারের তালিকায় ১০ নম্বরে অবস্থান করছে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড। ২০১৬ সালে ব্যাংকটির সার্বিক স্কোর দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৪, আগেরবার যা ছিল ২৬ দশমিক ১৬। ২০১৫ সালে সেরা ব্যাংকের তালিকায় তাদের অবস্থান ছিল ৬ নম্বরে। শাখাপ্রতি পরিচালন মুনাফায় আগেরবারের মতোই দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে সাউথইস্ট ব্যাংক। এক বছরের ব্যবধানে মূলধন পর্যাপ্ততায় এগোলেও তারা আরওই, আরওএ, এনপিএল, ইপিএস ও এনএভিপিএসের প্রতিযোগিতামূলক তালিকায় পিছিয়েছে।
২০১৬ সালের র্যাংকিংয়ে ২৪ থেকে ১১ নম্বরে উঠে আসা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের স্কোর ১৯ দশমিক ৭৭ থেকে ২৩ দশমিক ৪৫-এ উন্নীত হয়েছে। এনপিএল নিয়ন্ত্রণ ছাড়া গত এক বছরে অন্য প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক টেবিলেই বেশ এগিয়েছে ব্যাংকটি।
এবারের তালিকায় পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ২২ দশমিক ৭১, এক্সিম ২২ দশমিক ৫২, যমুনা ২২ দশমিক ৩৬, ঢাকা ২২ দশমিক ৩৫, এনসিসি ২২ দশমিক ৩৪, প্রিমিয়ার ২২, ইসলামী ব্যাংক ২১ দশমিক ৬৭, ব্যাংক এশিয়া ২১ দশমিক ৫৩, এবি ব্যাংক ২১ দশমিক শূন্য ৮, উত্তরা ২০ দশমিক ৮৬, শাহজালাল ইসলামী ২০ দশমিক ৮৩, ইউসিবি ২০ দশমিক ৭৯, আইএফআইসি ২০ দশমিক ৭২, প্রাইম ২০ দশমিক ২৫, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ২০ দশমিক ১৯, স্ট্যান্ডার্ড ১৮ দশমিক ৪৮, পূবালী ১৫ দশমিক ৬৫ ও রূপালী ব্যাংক ৮ দশমিক ১৩। তালিকায় সবার নিচে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের স্কোর মাত্র শূন্য দশমিক ১৪।
Posted ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta