কক্সবাংলা ডটকম(২০ জুলাই) :: জন্মের পর নামকরণ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ এই নামকরণের পিছনে থাকা নানা নিয়মকানুন৷ শিশুর নামকরণ হয়ে থাকে পরিবারের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে৷ এই নামই শিশুর জীবনে আনন্দ, খুশি, ভালোবাসা নিয়ে আসে৷ হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, প্রতিটি নামের পিছনেই থাকে একটি ইতিহাস৷
এই নামই জন্মের পর শিশুর পরিচয়৷ একটি উৎসবের মধ্য দিয়ে চলে এই নামকরণ পর্ব৷ হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, এই বিশেষ অনুষ্ঠানটির নাম নামকরণ৷ অপরদিকে, খ্রীষ্টানদের ক্ষেত্রে আগে থেকেই একটি নাম স্থির করা থাকে৷ পরে জাঁকজমক করে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নামকরণ পর্ব চলে৷
হিন্দু দেব দেবীদের নামকরণের পিছনেও রয়েছে এক একটি কাহিনী৷ আপনি জানেন কিভাবে কৃষ্ণ ঠাকুরের নামকরণ হয়েছিল! হিন্দু শাস্ত্রমতে, বসুদেব এবং দেবকীর অষ্টম পুত্র ছিলেন কৃষ্ণ৷ দেবকীর দাজা কংস তাঁদের পিতা উগ্রসেনকে বন্দী করে সিংহাসন আহরণ করেন৷ ভগবত পুরাণ অনুযায়ী, কোনওরকম যৌনসঙ্গম ব্যাতিরেকেই কেবলমাত্র ‘মানসিক যোগের’ ফলেই কৃষ্ণের জন্ম হয়৷
সংস্কৃতে কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ কালো, ঘন বা ঘন নীল৷ কৃষ্ণের মূর্তিগুলিকে তাঁর গায়ের রং সাধারণত কালো এবং ছবিগুলিতে নীল দেখানো হয়৷ কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ যে সকলদিক থেকে আকর্ষণীয়৷ কৃষ্ণের জীবন বিপন্ন জেনে জন্মরাত্রেই দৈবসহায়তায় কারাগার থেকে বেরিয়ে বসুদেব তাঁকে গোকুলে তাঁর পালক মাতাপিতা যশোদা ও নন্দের কাছে রেখে আসেন৷ ভগবান কৃষ্ণের জন্মের বিষয়টি সকলের থেকেই প্রথমে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল৷ তাঁর প্রাণরক্ষার উদ্দেশে৷
কৃষ্ণের সর্বাধিক প্রচলিত দুটি নাম হল গোবিন্দ ও গোপাল৷ এই নাম দুটি ব্রজে কৃষ্ণের প্রথম জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত৷ কোনও কোনও নামের ক্ষেত্রে আবার আঞ্চলিক গুরুত্বও থাকে৷ যেমন-জগন্নাথ নামটি৷ ওড়িশায় এই নামে একটি বিশেষ মূর্তিতে পূজিত হন কৃষ্ণ৷
Posted ৮:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta