কক্সবাংলা ডটকম(১৮ জুলাই) :: ডোকা লা নিয়ে সিকিম সীমান্তে ইন্দো–চীন টানাপোড়েন চলছে। তারইমধ্যে ভারতের ক্ষমতাবৃদ্ধি বেজিংয়ের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোবাল টাইমস’ সেকথা মেনেছে। তবে এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার বদলে রণনীতি পাল্টানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অতীতে ভারতের হাতে যথেষ্ট পুঁজি ছিল না। দক্ষ শ্রমিকের অভাব ছিল। যার ফলে উন্নত উৎপাদন ক্ষেত্র ছিল না। কিন্তু মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের জেরে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে। ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উৎপাদন ক্ষমতাও। যা তাদের অর্থব্যবস্থা, কর্মসংস্থান এবং শিল্প উন্নয়নের ওপর অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলেছে। বিভিন্ন চীনা সংস্থারও তাদের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
দু’দশক আগে ঠিক এভাবেই উন্নতির শিখরে পৌঁছেছিল চীন। তাই ভারতের উন্নতিতে বেজিংয়ের শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন। আরও যুগোপযোগী ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বদলে ফেলা উচিত রণকৌশল।’ ভারতে বিনিয়োগকারী চীনা সংস্থাগুলির একটি তালিকাও সামনে এনেছে তারা। যার মধ্যে রয়েছে ‘ওপ্পো,’ ‘ভিভো,’ ‘লেনোভো,’ এবং ‘জিয়াওমি’–র মতো স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
রয়েছে ‘মিডিয়া গ্রুপ’–এর মতো টিভি, রেফ্রিজারেটর, মিক্সার, জামা–কাপড় কাচার যন্ত্র, ইস্ত্রি প্রভৃতি প্রস্তুতকারক সংস্থাও। প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে পুণে–তে কারখানা গড়বে বলে সম্প্রতি ঘোষণা কেরছে তারা। ২০১৮ সালের মধ্যে সেটি চালু হয়ে যাবে। যার ফলে পরবর্তী পাঁচ বছরে ৫০০–র বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
Posted ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta