কক্সবাংলা ডটকম(২৩ আগস্ট) :: ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে ক্লাউড সিডিংয়ের একটি প্রকল্প অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষা তিন বছর ধরে খরায় পুড়তে থাকা রাজ্যটিতে অতিরিক্ত পানি নিয়ে আসতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরা।
রাডার সরঞ্জামের জন্য জিএসটি (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স) ক্লিয়ারেন্স নিয়ে জটিলতার কারণে ‘বর্ষাধারা’ নামক প্রকল্পটি ১০ দিন পিছিয়ে যায়। গত সোমবার জাকুল বিমানঘাঁটি থেকে প্রাথমিক উড্ডয়নের কথা ছিল।
কিন্তু নির্ধারিত সময়সূচি ধরতে না পারায় এবং বিকালের আগে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ছাড়পত্র পেতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারো উড্ডয়ন পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে উড্ডয়নের সময় অধিকাংশ মেঘ সরে যায়। তবে আজ থেকে নতুন উদ্যমে এ কাজ শুরু করা হবে।
আগামী ৬০ দিন ধরে একটি ছোট উড়োজাহাজে করে মেঘের ওপর সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও সিলভার আয়োডাইড ছড়িয়ে দেয়া হবে। মূলত রাজ্যের প্রধান নদীগুলোর জলাভূমি এলাকায় বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ক্লাউড সিডিংয়ের পেছনের তত্ত্বটি খুবই সাধারণ। পৃথিবীর শীতলতম অংশে বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে বরফ বড় ভূমিকা রাখে। ভারতের মতো উষ্ণ জলবায়ুতে বৃষ্টিপাত তখনই হয়, যখন মেঘের ক্ষুদ্র পানির কণাগুলো পরস্পর ধাক্কা খায়। ক্ষুদ্র কণাগুলো ধাক্কার মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বড় কণায় পরিণত হয়, তখন আর তা বাতাসে ভেসে থাকতে না পেরে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।
এ কারণে ভারতে বৃষ্টিপাত বাড়াতে সোডিয়াম ক্লোরাইড বা পটাশিয়াম ক্লোরাইডের মতো যেসব পদার্থ পানিকে আকর্ষণ করে, সেগুলো মেঘের ওপর ছড়িয়ে দেয়া হবে। তবে অঞ্চলটিতে মেঘের উপস্থিতি থাকলেই কেবল এ পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত সম্ভব।
Posted ২:৫২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta