কক্সবাংলা ডটকম(৩১ মে) :: পাকিস্তানের সঙ্গে সহসা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ইস্যুতে ভারতীয় রণকৌশলবিদরা দ্বিধাবিভক্ত। রণলিপ্সুরা মনে করছেন শক্তি দেখানোর এখনই সময়। তাদের মতে কাশ্মির সমস্যা দীর্ঘদিন জিইয়ে রাখা হয়েছে — তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তাই এখন একটি ‘সাহসী’ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ভারতের। তা না হলে হিমালয়ান রাজ্যটি তার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি পাকিস্তানী সৈন্যরা নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ঢুকে দুই ভারতীয় সেনাকে হত্যা ও তাদের লাশ বিকৃত করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকে দিল্লির কাছ থেকে যুদ্ধের হুমকি তীব্র হয়ে উঠে।
পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এই ঘটনায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতারা পর্যন্ত তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এই ‘আত্মত্যাগ বিফলে যেতে দেবেন না’ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুন জেটলি শপথ ব্যক্ত করেছেন। সেনাবাহিনী এর ‘যথাযথ জবাব দেবে’ বলেও তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে আপোসের মনোভাব দেখানোর জন্য কংগ্রেস দলীয় সাবেক মন্ত্রী কাপালি সিবাল মোদি সরকারকে তিরস্কার করেন। এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কিছু করে দেখানোর আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে, ভারত জম্মু-কাশ্মির পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ কার্যকরভাবে হারিয়ে ফেলেছে বলে এম কে নারায়ানানের মতো কৌশলবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় বছর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা এই কৌশলবিদ দি হিন্দু পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে আরো বলেন, ‘ইন্তিফাদা’ সৃষ্টির মতো কোন বিপর্যয় এড়াতে নয়াদিল্লিকে তার ‘পেশিশক্তি নীতি’ পরিহার করতে হবে। এমনকি প্রয়োজনে ইসলামাবাদের কাছেও যেতে হবে।
নারায়ানান বহু বছর কাশ্মিরে দমন অভিযান দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। তার কাছ থেকে বেশ কিছু মারাত্মক স্বীকারোক্তি পাওয়া গেছে। তার মতে জম্মু-কাশ্মিরে বর্তমানে যে গণবিক্ষোভ চলছে তার পেছনে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ ও ‘সন্ত্রাসবাদ’ আসল কারণ নয়। পাকিস্তান-সমর্থিত ও বিচ্ছিন্নতাবাদি গ্রুপগুলোর এর ওপর সামান্যই নিয়ন্ত্রণ আছে।
কেন যুদ্ধ?
পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে কাশ্মির হতে পারে একটি সূচনা বিন্দু বা ‘ট্রিগারিং পয়েন্ট’। তবে, আরো কিছু বিষয় রয়েছে। ওবিওআর উদ্যোগে যোগ না দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার বেদনা ভারত ধীরে হলেও অনুভব করতে শুরু করেছে। এই প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত হওয়ার পর তা ভারতের জন্য কি ধরনের মর্মপীড়া তৈরি করতে পারে তা তারা দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছে। মে’র মাঝামাঝি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ‘অঞ্চল ও সড়ক ফোরামে’র সম্মেলনে বিশ্বের ২৯টি দেশের নেতা ও এই মহাদেশের প্রায় সবগুলো দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। এই প্রকল্পের জন্য শত শত কোটি ডলার খরচ করা হচ্ছে। ভারতের আঞ্চলিক মিত্ররা তাদের আনুগত্য ব্যাপকভাবে অন্যদিকে সরিয়ে নিচ্ছে।
২০১৪ সালে মালদ্বীপ ওবিওআর উদ্যোগে যোগ দেয়। বাংলাদেশ এতে যুক্ত হয় ২০১৬ সালে। শ্রীলংকা ২০১০ সাল থেকেই ওবিওআর-এর অংশীদার। অন্যদিকে, চীন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর (সিপিইসি) নির্মাণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান এই উদ্যোগের অংশে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারও ক্রমেই চীনের প্রভাববলয়ে ঢুকে পড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে বিচলিত হয়ে পড়েছে নয়াদিল্লি।
ভারত নিজেকে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে জাহির করতে ও ‘স্বকল্পিত রাজ্যে’র ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে মহা বাগাড়ম্বর চালিয়ে যাচ্ছে। চীনের উদ্যোগ বানচাল করতে ভারতকে মরিয়া বলে মনে হচ্ছে। এর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পাকিস্তানের সঙ্গে সীমিত আকারের যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়া, অন্তত এশিয়ায়। চীন এই অঞ্চলে দৃঢ় হয়ে বসার আগেই ভারত এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে চায়। পাকিস্তান ও এই অঞ্চলে আরো বিনিয়োগ না করার ব্যাপারে চীনের মনে ‘ভয়’ ধরাতে চায়। কিন্তু, বেলুচিস্তানের বিদ্রোহীদেরকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য সহায়তা দিয়ে, এমন কি চীনা নাগরিকদের অপহরণ করেও সিপিইসি থেকে বেইজিংকে দূরে সরিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধালে বেশ কিছু ফ্রন্টে লাভ হবে বলে ভারত মনে করছে। এতে কাশ্মির ঠান্ডা হবে, পাকিস্তান অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এশিয়ায় চীনের ওবিওআর উদ্যোগকে ব্যাহত করা যাবে। এতে সবকিছু ভারতের দিকে ঘুরে যেতে পারে। আর ভারতের ভাবনা মতে আগামী শীত মওসুম হলো এই সীমিত যুদ্ধ বাধানোর উপযুক্ত সময়। কারণ, শীতকালে কাশ্মির উপত্যকার বেশিরভাগ এলাকা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে যুদ্ধের মঞ্চটি হবে খুব ছোট।
তাছাড়া, যুদ্ধ বাধাতে পারলে তাতে ভারতের বেসরকারি খাতের অস্ত্র নির্মাতাদের জন্য বাজার সৃষ্টি করা যাবে। ভারতে বেসরকারি উদ্যোক্তরা অস্ত্র তৈরি খাতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে। স্থানীয় তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে অস্ত্র তৈরির লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। বিদেশী অংশীদারদের সঙ্গে মিলে ভারতীয় বেসরকারি উদ্যোক্তরা যাতে সাবমেরিন, জঙ্গিবিমান ও সাঁজোয়া যান নির্মাণ করতে পারে সম্প্রতি তার একটি নীতি দেশটির সরকার চূড়ান্ত করেছে। আগামী এক দশকে ভারত তার সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের পেছনে ২৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।
এদিকে, বেইজিং ও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে ‘দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ’ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নয়াদিল্লি। চলতি বছরের গোড়ার দিকে ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত একটি সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
রাওয়াত বলেন, ভারতকে ইরাক, ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং এসব দেশের সহায়তা চীনের ‘পশ্চিমমুখে’ অগ্রসর হওয়া প্রতিহত করতে হবে। তাই ভারতের টার্গেট যে চীন তা স্পষ্ট। দেশটির প্রভাব বিস্তার আটকানোর চেষ্টা করবে তারা।
ভারত কি পারবে যুদ্ধের চাপ সামলাতে?
এর সংক্ষিপ্ত জবাব হলো ‘না’। প্রথমত, এই প্রযুক্তি ও সামরিক অগ্রগতির যুগে কেউ চাইলেও যুদ্ধকে সীমাবদ্ধ রাখতে পারে না। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্ভাগ্য এর একটি ভালো উদাহরণ। ২০১৪ সালের মধ্যে সেখান থেকে সকল সৈন্য সরিয়ে নেয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিন্তু, এখন আরো নতুন করে সেনা পাঠাচ্ছে সেখানে। দ্বিতীয়ত, যুদ্ধ শুধু পাকিস্তানের মধ্যে সীমিত নাও থাকতে পারে। পাকিস্তান বেশ বুদ্ধিমত্তার সাথে চীনকে তার ‘দৈনন্দিন জীবনে’র সঙ্গে আটকে ফেলতে পেরেছে। সিপিইসি’তে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে চীন। পাকিস্তানের মাটিতে সিপিইসি এবং ওবিওআর প্রকল্পগুলোতে হাজার হাজার চীনা শ্রমিক কাজ করছে। ফলে যুদ্ধ বাধলে চীনের তাতে জড়িত হওয়ার যথেষ্ঠ কারণ থাকবে। তার বহু-বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বানচাল হতে দিবে না চীন।
ঝড়ের কেন্দ্র হবে কাশ্মির। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহ দমন অভিযান চালিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন অবসন্ন। উপত্যকার স্থানীয় জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তারা। কাশ্মিরীদের চোখে তারা শত্রু বাহিনী। যুদ্ধের সময় কাশ্মিরীদের প্রতি পাকিস্তানের সামান্য মদদ ভারতীয় সেনাদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। আগে পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। তখন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোন সদস্য কাশ্মিরে ঢুকে পড়লে স্থানীয়রা তাকে ধরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতো। আর এখন পাকিস্তানী সেনাদের স্বাগত জানাবে কাশ্মিরিরা।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ কাশ্মির এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও বিদ্রোহ দমনের কাজে আটকা পড়ে আছে। বেইজিংয়ের কাছ থেকে সামান্য সহায়তা পেলেই মাওবাদি ও দলিত আন্দোলনগুলো ভারতের প্রাণকেন্দ্রে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালাতে সক্ষম হবে। তখন শুধু দুই ফ্রন্ট নয়, নিজের মধ্যেই আরো অনেক ফ্রন্টে ভারতকে যুদ্ধ করতে হবে।
চীনের সঙ্গে সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারত বেইজিংয়ের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারবে না। সম্প্রতি কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করছে ভারত। কিন্তু বেইজিংয়ের সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে রীতিমত একটি শিল্প বলা যায়। কয়েক ঘণ্টার নোটিশে দেশটি বহু ডিভিশন সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে হাজির করার ক্ষমতা রাখে।
একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, “গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বহু দশক ধরে সহযোগিতা, প্রযুক্তি স্থানান্তর, প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম বিক্রির কারণে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে সামরিক ‘ইনটেরোপেরাবিলিটি’ [সেনাবাহিনীগুলোর একত্রে কাজ করার ক্ষমতা] গড়ে উঠেছে। অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে এই সঙ্গতি আরো জোরদার হয়ে উঠবে। যে কোন অভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে যৌথ মিশন পরিচালনার যোগ্যতা এ দু’দেশের সেনাবাহিনীর রয়েছে। দুই মিত্র মিলে এক ভয়ংকর যৌথ বাহিনী গড়ে তুলবে। চীনের কাছ থেকে অব্যাহত সাহায্যের পাশাপাশি পাকিস্তানের রয়েছে সমীহ আদায় করার মতো পারমাণবিক প্রযুক্তি, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ব্যবস্থা, সরঞ্জাম ও খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য লজিস্টিক সাপ্লাই চেইন এবং সাইবার ও ড্রন ওয়্যারফেয়ারের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
প্রবিন শাওনে তার ‘দ্যা ড্রাগন অন আওয়ার ডোরস্টেপ’ বইয়ে লিখেন, ভারত যখন তার অস্ত্রের মজুত বাড়াতে ব্যস্ত ছিলো, তখন পাকিস্তান ও চীন ব্যস্ত ছিলো নিজেদের যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতা বাড়াতে। শুধু সামরিক শক্তি ছাড়াও এটা আরো অনেক শক্তির সংশ্লেষ।
ভারতের আরেকটি টানাপড়েনের জায়গা হলো এর ঐতিহ্যগত মিত্র সাম্প্রতিক সময়ে একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। বিশেষ করে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের প্রবেশের পর এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আফগানিস্তানের পাট চুকাতে হলে পাকিস্তানকে প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের। তাই তারা পাকিস্তানকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান আগের মতো আর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতটা নির্ভরশীল নয়। চীন এই শূন্যস্থান পূরণ করেছে।
চীনের ‘এক অঞ্চল এক সড়ক’ উদ্যোগকে একটি ‘মাস্টার মুভ’ বলা যায়। এটা পাকিস্তান ও চীন উভয়ের জন্য একটি ‘উইন-উইন’ উদ্যোগ।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত যুদ্ধ বাধানোর সিদ্ধান্ত নিলে দেশটি রসদ সরবরাহের জন্য চীনের ওপর নির্ভর করতে পারে। পাশাপাশি, ভারতের সীমান্ত এলাকায় চীনা সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সম্পদ ও মনযোগের কেন্দ্রের দিক দিয়ে দুর্বল করে দেয়া যায়। তখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ফোর্সের একটি বড় অংশ দেশের পূর্ব ফ্রন্টে সরিয়ে নিতে হবে।
বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলো সম্ভাব্য পাক ভারত যুদ্ধে হস্তক্ষেপের আগে দু’বারেরও বেশি চিন্তা করবে।
ভারতের রণ উন্মাদরা হয়তো রক্তের জন্য তোলপাড় করছেন, কিন্তু ঠাণ্ডা মাথার বিচক্ষণ ব্যক্তিরা বুঝতে পারছেন যে সতর্কতা অবলম্বনই এই মুহূর্তের দাবি। চির শত্রু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাধিয়ে দিলে দেশটির পরীক্ষিত বন্ধু চীনকে সামলানো সামর্থ্য ভারতের নেই। বরং ঘুমন্ত ড্রাগনকে ঘুমিয়ে থাকতে দেয়াই ভারতের জন্য বিচক্ষণতার কাজ হবে।
Posted ৫:৪০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta