কক্সবাংলা ডটকম :: সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারির মধ্যে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে প্রায় ৮ হাজার প্রতিষ্ঠান। নিবন্ধন নেয়া এসব প্রতিষ্ঠানের সবাই ভ্যাট আদায়ের মেশিন ইএফডি বা এসডিসি স্থাপন করেননি।
তারপরও গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জুয়েলারি খাতে ভ্যাট আহরিত হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
সেজন্য সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বা এসডিসি স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) থেকে সব জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন বা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি এবিআরের মূসক তথ্য প্রযুক্তি ও প্রকল্প পরিকল্পনা বিভাগের দ্বিতীয় সচিব উত্তম বিশ্বাসের সই করা এক চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজুস সভাপতির কাছে পাঠানো এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়, বাজুসসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বাজুস নেতারা সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বা এসডিসি স্থাপন করার অনুরোধসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
গত ৩০ জানুয়ারি বাজুসসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনা হয়, সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তার মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার প্রতিষ্ঠান বাজুসের সদস্য। প্রায় ৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে এবং ইএফডি স্থাপন করা হয়েছে মাত্র এক হাজার প্রতিষ্ঠানে।
বাজুস নেতারা জানান, তারা অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত করতে এবং ইএফডি বা এসডিসি স্থাপনে সহযোগিতা করবেন; তবে, তারা সব প্রতিষ্ঠানকে বাজুসের সদস্য করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিন এলাকাভিত্তিক একটি শিডিউল উপস্থাপন করেন।
সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনাররা জানান, তারা ওই শিডিউল এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে ইএফডি বা এসডিসি স্থাপন শুরু করবেন।
এ বিষয়ে প্রতিটি কমিশনারেটে আলাদা টাস্ক টিম গঠন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
ঢাকা (পূর্ব) কমিশনারেটের কমিশনার জানান, তিনি এরই মধ্যে টাস্ক টিম গঠন করেছেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বাজুস থেকে সব জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ এবং ইএফডি স্থাপন করার জন্য পত্র দেয়া হবে।
জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজুসের সদস্য পদ গ্রহণের জন্য কমিশনাররা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।
ইএফডি বা এসডিসি স্থাপনের শিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। পোস্টারিং, লিফলেটিং, আলোচনা সভা ইত্যাদির আয়োজন করতে হবে।
জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসি ইএফডি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। এভাবে অংশীজনদের মধ্যে সমঝোতা ও সচেতনতা সৃষ্টি করার পর ইএফডি বা এসডিসি স্থাপন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটর টাস্ক টিম, বাজুস, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ভ্যাট কনসালটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ভ্যাট বার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনালস ফোরাম, স্থানীয় জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন একসঙ্গে সব আয়োজন করবে।
Posted ১:০০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta