কক্সবাংলা ডটকম(১২ জানুয়ারী) :: প্রথমবারের চেষ্টা বিফলে গিয়েছিল। মহাকশে স্যাটেলাইট যান পাঠিয়ে সফল হয়নি ভারত। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল ইসরো। সফল হতেই হবে। দ্বিতীয় চেষ্টাতেই বিশ্বকে বিবেকানন্দের দেশ বুঝিয়ে দিল, হ্যাঁ আমরাই পারি। জাতীয় যুব দিবসে ১০০ তম স্যাটেলাইট পিএসএলভি-সি৪০ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। আজই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা স্পেস সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহকলের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। এই রকেটে রয়েছে ‘কার্টোস্যাট-২’-এর মত আবহওয়া পরিমাপক স্যাটেলাইট সহ আরও ৩০টি স্যাটেলাইট।
ইসরো সূত্রে খবর, ৩১টি উপগ্রহের মধ্যে রয়েছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী ভারতের ‘কার্টোস্যাট-২’ সিরিজের একটি উপগ্রহ। এ ছাড়া ১০০ কেজি ওজনের একটি মাইক্রো এবং ১০ কেজি ওজনের একটি ন্যানো উপগ্রহও পাঠানো হয়েছে। বাকি ২৮টির মধ্যে রয়েছে কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, কোরিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকার উপগ্রহ। ৩১টি উপগ্রহের মোট ওজন ১, ৩২৩ কিলোগ্রাম।
শুক্রবার সকাল ৯.২৯ মিনিটে নিজেদের ১০০তম উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠিয়েছে তাঁরা। গোটা ব্যাপারটি যেখানে দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের, প্রতিবেশি দেশের এই সাফল্য যেন মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান! তাঁদের নিজস্ব মহাকাশ গবেষণা ভারতের তুলনায় যতটাই পিছিয়ে থাকুক না কেন, প্রতিবেশী দেশকে হুমকি দিতেও পিছপা হয় না পাক সরকার। ইসলামাবাদের নয়া অভিযোগ, এই উপগ্রহ ভারত সেনার কাজে লাগাতে পারে এবং তাতে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হতে পারে। আর একারণেই ভীত তাঁরা।
ইসরোর জন্মের আট বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬১ সালে পাকিস্তানে স্পেস ও আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ইসরোর তুলনায় সেটি কোনওভাবেই প্রতিষ্ঠা পায়নি। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তুলনা টানা হয় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র সঙ্গে। আর সেখানে সাফল্য না পাওয়ার কারণেই ইসরোর উৎক্ষেপণ নিয়ে এতটা বিচলিত পাকিস্তান, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। এদিনের উৎক্ষেপণের আগেই তাই পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে দিল্লিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, ‘মহাকাশ নিয়ে গবেষণার প্রযুক্তিগুলি এবং উপগ্রহগুলিকে সাধারণ মানুষ ও সেনা উভয়ের কাজেই ব্যবহার করা হয়। তাই সেনার ক্ষমতা বাড়াতে যদিও এই উপগ্রহগুলিকে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটা আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করতে পারে।’
এদিন পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল) সি—৪০/কার্টোস্যাট২ সিরিজের মাধ্যমেই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি মহাকাশে পাড়ি দেয়। এবার একসঙ্গে ৩১টি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়েছে ইসরো। পিএসএলভি এখন আরও বেশি উন্নত। এই নিয়ে মোট ৪২ বার মহাকাশে পাড়ি দিল এই রকেটটি। চতুর্থ পর্যায়ের এই ইঞ্জিনটিতে রয়েছে ‘মাল্টিপল বার্ন টেকনোলজি’। অর্থাৎ ৩১টি কৃত্রিম উপগ্রহকে (স্যাটেলাইট) মহাকাশে পাঠানোর সময়ে ইঞ্জিনটি আট মিনিট ধরে কাজ করবে, আবার পরবর্তী আট মিনিট তা বন্ধ হয়ে যাবে। কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে কক্ষপথে স্থাপন করে ফের তা চালু হবে। অভিযানের অধিকর্তা আর হিউটন বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টের অভিযানে পিএসএলভি-র যে কর্মক্ষমতা ছিল, শুক্রবারের অভিযানেও সেই একই কর্মক্ষমতা রয়েছে রকেটটির।
Posted ২:০৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta