কক্সবাংলা ডটকম :: মহাকাশে ইতিহাস ভারতের। স্পেস ডকিং (Space Docking Experiment) এক্সপেরিমেন্ট ওরফে ইসরোর স্পেডেক্স অভিযানে বিরাট সাফল্য।
রবিবার ডকিং পরীক্ষায় প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হল।
পরীক্ষার জন্য উৎক্ষেপণ হওয়া দুটি কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellites) একে অপরের কাছাকাছি এল রবিবার। প্রথমে ১৫ মিটার ও পরে মাত্র ৩ মিটারের দূরত্বে আনা সম্ভব হয়েছিল তাদের।
ইসরো জানিয়েছে, কাছাকাছি এনে পরীক্ষার পর ফের তাদের নিরাপদ দূরত্বে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবারের এই সাফল্য ইসরোর কাছে বিরাট মাইলফলক।
এরপর গবেষণা করে ডকিং পরীক্ষার পরবর্তী ধাপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
তবে কাছাকাছি আনার পরও দুটি উপগ্রহ অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো।
রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ স্পেডেক্স উপগ্রহের একে অপরের তোলা ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করে ইসরো জানায়, দুটি উপগ্রহ ১৫ মিটার দূরে স্থিরভাবে অবস্থান করছে।
১৫ মিটার দূরত্বে তাদের আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। দুই উপগ্রহের করমর্দন হতে ব্যবধান মাত্র ৫০ ফুট ছিল বলে গর্বের সঙ্গে এক্স পোস্টে জানায় ইসরো।
গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১০টায় অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সফলভাবে দুই কৃত্রিম উপগ্রহ চেসার (SX01) ও টার্গেট (SDX02) নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় পিএসএলভি সি-৬০ রকেট।
মহাকাশে মহাকাশচারীদের ভ্রমণে ডকিংয়ের (Space Docking) প্রয়োজন হয়। দুটি মহাকাশযানের মধ্যে ডকিং সম্পন্ন হলে মহাকাশচারীরা স্পেস স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেন।
সেই ডকিং প্রযুক্তিই খতিয়ে দেখবে এই দুই কৃত্রিম উপগ্রহ।
একই কক্ষপথে দুটি দ্রুতগতির মহাকাশযানকে যুক্ত করার প্রক্রিয়াই হল স্পেস ডকিং। বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ ও মহাকাশচারীদের স্থানান্তরের জন্য এই ডকিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ।
এসংক্রান্ত গবেষণা সফল হলে স্পেস স্টেশন নির্মাণে বড় সাফল্য পাবে ভারত।
উল্লেখ্য, এহেন উন্নতমানের প্রযুক্তি নির্ভর স্যাটেলাইট অভিযান এর আগে কেবল রাশিয়া, চিন ও আমেরিকা চালিয়েছে। চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত সেই জায়গায় স্থান করে নিল।
Posted ১:৩৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta