কক্সবাংলা ডটকম :: গত রবিবারই কাছাকাছি গিয়ে ডকিংয়ের (Space Docking) ঝুঁকি এড়াতে পিছিয়ে এসেছিল ইসরোর স্পেডেক্স অভিযানের দুই কৃত্রিম উপগ্রহ (Satellites)। সেও ছিল এক ইতিহাস।
আর অবশেষে ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মহাকাশে স্যাটেলাইট ডকিংয়ে সাফল্য পেল ইসরো।
অন্তরীক্ষে যুক্ত হল ইসরোর দুই স্যাটেলাইট। একইসঙ্গে গোটা বিশ্বে চতুর্থ দেশ হিসেবে স্পেস ডকিং প্রযুক্তিতে সাফল্যের শিরোপা মাথায় তুলে নিল ভারত।
এদিন এক বিবৃতিতে ইসরো জানিয়েছে, মহাকাশে সাফল্যের সঙ্গে ডকিং সম্পন্ন হয়েছে।
এসডিএক্স ০১ (চেজার) ও এসডিএক্স ০২ (টার্গেট) সফল ভাবে যুক্ত হয়েছে মহাকাশে। ভারতের জন্য যা ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
এর আগে ১৫ মিটারের দূরত্বে এসেও পিছিয়ে যায় উপগ্রহদুটি। অবশেষে ৩ মিটার দূরত্বে ডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
যার ফলে ডকিংয়ে সাফল্যের নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, রাশিয়ার পর এক সারিতে চলে এল ভারত।
তবে আনডকিং করার আগে রয়েছে একাধিক কার্যসূচি। ডকিংয়ের পর এবার দুই স্যাটেলাইটের মধ্যে বিদ্যুতের ট্রান্সফার হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।
গত ৭ ও ৯ জানুয়ারি ইসরোর তরফে দু’বার ডকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে প্রযুক্তিগত ঝুঁকির কারণে পিছিয়ে আনা হয় উপগ্রহগুলিকে।
তবে হাল ছাড়েনি ইসরো। অবশেষে বৃহস্পতিবার রেকর্ড গড়েই ফেলল ভারত।
গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১০টায় অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সফলভাবে দুই কৃত্রিম উপগ্রহ চেসার (SX01) ও টার্গেট (SDX02) নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় পিএসএলভি সি-৬০ রকেট (PSLV rocket)।
মহাকাশে মহাকাশচারীদের ভ্রমণে ডকিংয়ের (Space Docking) প্রয়োজন হয়।
দুটি মহাকাশযানের মধ্যে ডকিং সম্পন্ন হলে মহাকাশচারীরা স্পেস স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেন। সেই ডকিং প্রযুক্তিই খতিয়ে দেখবে এই দুই কৃত্রিম উপগ্রহ।
একই কক্ষপথে দুটি দ্রুতগতির মহাকাশযানকে যুক্ত করার প্রক্রিয়াই হল স্পেস ডকিং। বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ ও মহাকাশচারীদের স্থানান্তরের জন্য এই ডকিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ।
এসংক্রান্ত গবেষণা সফল হলে স্পেস স্টেশন নির্মাণে বড় সাফল্য পাবে ভারত।
উল্লেখ্য, এহেন উন্নতমানের প্রযুক্তি নির্ভর স্যাটেলাইট অভিযান এর আগে কেবল রাশিয়া, চিন ও আমেরিকা চালিয়েছে। চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারত সেই জায়গায় স্থান করে নিল।
Posted ২:১৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta