কক্সবাংলা ডটকম(১৪ জানুয়ারি) :: মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর দিকে একের পর জোরাল বেতার তরঙ্গ ভেসে আসছে। আজ থেকে নয়, সেই ২০০৭ থেকে। বিজ্ঞানীরা একে বলেন, ফাস্ট রেডিও বার্স্ট বা FRB। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই তরঙ্গ পাঠাচ্ছে কারা? কী উদ্দেশ্যেই বা পাঠাচ্ছে? তবে কি এর মধ্যে কোনও সাঙ্কেতিক বার্তা পাঠাতে চাইছে কোনও ভিনগ্রহের জীব? আমাদের চেনাজানা পৃথিবীর বাইরেও কি কোনও গ্রহে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব?
‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ জানাচ্ছে, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রিন ব্যাঙ্ক অবজারভেটরি ও পুয়ের্তো রিকোর অ্যারেকিবো অবজারভেটরির শক্তিশালী টেলিস্কোপ এই নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এনেচ্ছে। নয়া রিপোর্ট বলছে, মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে যে রেডিও সিগন্যাল ভেসে আসছে, তা প্রতিদিন একটু একটু করে শক্তিশালী ও স্পষ্ট হচ্ছে।
প্রতি মিলিসেকেন্ডে ওই তরঙ্গ থেকে যে পরিমাণ এনার্জি বেরোচ্ছে, তা সারাদিনের সূর্যের এনার্জির চেয়েও বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্প্রতি FRB 121102 সিগন্যালটি তাঁদের সবচেয়ে শক্তিশালী মনে হয়েছে। সম্ভবত কোনও কৃষ্ণ গহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের ভিতরের ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে আসছে ওই তরঙ্গ।
তবে একটি বিষয়ে বিজ্ঞানীরা একমত যে, যে যেখান থেকেই এই রেডিও তরঙ্গ ভেসে আসুক না কেন, এমন কোনও বস্তু তাঁরা আগে দেখেননি। এর আগে এরকম যত তরঙ্গ এসেছে, এই নতুন তরঙ্গে তাদের চেয়ে প্রায় ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী ও স্পষ্ট।
স্পেস ডট কমকে এক সাক্ষাৎকারে অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জেসন হেসেলস বলছেন, ‘আমি নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না প্রথমে। এরকম শক্তিশালী ও অদ্ভুত তরঙ্গ আমি জীবনে কোনওদিন দেখিনি। কোথা থেকে এই তরঙ্গে আসছে, সেটা জানতে আমি ও আমার সহকর্মীরা মুখিয়ে রয়েছি।’ তাঁর আশা, বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি দিন দিন যত শক্তিশালী টেলিস্কোপ তৈরি করবে, ততই মহাবিশ্বের নানাবিধ রহস্যের উপর থেকে পর্দা সরে যাবে। উত্তর মিলবে বহু অজানা প্রশ্নের।
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শামি চট্টোপাধ্যায় কিন্তু আবার অন্য কথা বলছেন। তাঁর মতে, যেভাবে এই তরঙ্গ প্রতিদিনই একটু একটু করে স্পট ও জোরাল হচ্ছে, তাতে তিনি আশঙ্কিত। কেউ পৃথিবীর ক্ষতি করতে এই গ্রহের দিকে এগিয়ে আসছে কি না, সেটা দ্রুত জানতে চান তিনি।
উজ্জ্বল কয়েক টুকরো পাথর৷ কিন্তু কোনও রত্ন নয়৷ আবার হতেও পারে৷ আসলে পাথরগুলো ঠিক কী সেটা নিয়ে চলছে গবেষণা৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিশ্বে এধরণের পাথরের অস্তিত্ব নেই৷ তাহলে কী ভিনগ্রহের প্রাণীরা পাঠিয়েছে এসব ?
মিশরের মরুভূমিতে মিলেছে কিছু চকচকে পাথরের টুকরো৷ তাতেই চমকে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এ যেন ঠিক পাথর নয়, অন্য কিছু ! কী এই বস্তু ? কোথা থেকে এল এসব জানতে চলছে গবেষণা৷
পাথরের নাম হিপটিয়া৷ ১৯৯৬ সালে প্রথমবার এমন উজ্জ্বল পাথর মিলেছিল মিশরেই৷ বিশ্বের প্রথম মহিলা গণিতজ্ঞ ও মহাকাশ বিজ্ঞানী ছিলেন হিপটিয়া৷ তাঁর নামেই পাথরের নামকরণ করা হয়েছিল৷ কিন্তু রহস্যজনক এই বস্তুগুলি সম্পর্কে আজও কৌতূহল কমেনি৷
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই পাথরের ভিতরে আছে তরল পদার্থ৷ এ ধরণের বস্তু আগে কখনো মেলেনি৷ সম্ভবত অন্য কোনও গ্রহ থেকে ছিটকে এসেছে এসব৷
ভূবিজ্ঞানীদের দাবি, ২ কোটি ৮০ লক্ষ বছর আগে কোনও এক উল্কা ঝরে পড়েছিল বিশ্বের বুকে৷ সেই উল্কার অংশ এই উজ্জ্বল পাথর৷
আরও কিছু বিজ্ঞানীর ধারণা, যখন সৌর মণ্ডল তৈরি হয়নি সেই সময়কার এই পাথর৷ তাই এর ভিতরে তরলের আভাস মিলেছে৷ রাসায়নিক পরীক্ষায় উঠে এসেছে, এই তরলে মিশে আছে কসমিক গুঁড়ো৷ এই পদার্থ থেকেই সৌরমণ্ডল তৈরি হয়েছিল৷
তবে বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে৷ কারণ রহস্যে মোড়া পাথরের ভিতর লুকিয়ে আছে অনেক কিছু৷ হতেও পারে এসব ভিনগ্রহের প্রাণীদের সংকেত৷