কক্সবাংলা ডটকম(২৩ জুন) :: ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ফের ইসরোর সাফল্য৷ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রীহরিকোটার ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সাত সকালেই শক্তিশালী রকেট লঞ্চ ‘কার্টোসাট’ স্যাটেলাইট সিরিজের একটি রকেট লঞ্চ করল ভারত৷
এই রকেটটির বৈশিষ্ট্য হল মহাকাশ থেকে সীমান্তের সমস্ত গতিবিধির খবর পৌঁছে দিতে পারবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে। তারই সঙ্গে শত্রুপক্ষের অবস্থান সম্পর্কেও সমস্ত তথ্য দিতে পারবে সে।
এই বিশেষ সিরিজের স্যাটেলাইট এর আগেও প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু CARTOSAT-2 এর বিশেষত্ব হল আগের স্যাটেলাইট গুলির তুলনায় আরও ছোট বস্তুর ওপর নজরদারি করতে পারবে এটি। বর্তমানে প্রতিস্থাপিত স্যাটেলাইটের রেজোল্যুশন ক্ষমতা ০.৮ মিটার। কিন্তু CARTOSAT-2 প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। এর রেজোল্যুশন ক্ষমতা হতে চলেছে ০.৬ মিটার।
‘কার্টোসাট’ স্যাটেলাইট সিরিজের এই রকেটটির নাম ‘কার্টোসাট ২’৷ এই কার্টোসাট স্যাটেলাইটগুলোকে ‘eye in the sky’ বলেও চিহ্নিত করা হয়৷ গত বছর ভারতের সীমান্তে সার্জিকাল স্ট্রাইকের ছবি মহাকাশ থেকে পাঠাতে পারবে৷ শত্রুপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে জানান দেবে এই বিশেষ স্যাটেলাইটটি৷ এই স্যাটেলাইট মহাকাশের উপরে নজরদারি চালাতে সক্ষম৷
ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে রয়েছে এমনই পাঁচটি স্যাটেলাইট৷ কিন্তু আবারও কেন একটি স্যাটেলাইটের প্রয়োজন কেন হল? এই প্রসঙ্গে ইসরো চেয়ারম্যান ড. এ এস কিরন কুমার বলেন, উচ্চমানের সিগন্যাল কিংবা ডেটা দেওয়ার জন্য যে সমস্ত স্যাটেলাইট রয়েছে মহাকাশে সেগুলি এখনও অবধি উচ্চমানের ডেটা মহাকাশ থেকে পাঠাতে সক্ষম নয়৷ অন্যান্য উৎস থেকে আমাদের ডেটা কিনতে হত৷ এটি একটি রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট। এতে থাকবে একটি প্যান ক্যামেরা। যাতে পৃথিবীর সাদা-কালো ছবি উঠবে।
এটি ছাড়াও PSLV আরও ছোট ছোট ৩০টি উপগ্রহ বহন করবে৷ এদের মধ্যে ২৯টি উপগ্রহই ১৫টি অন্যান্য দেশ থেকে আমেরিকা এবং চিলির৷ ৩০-তম স্যাটেলাইটটির ওজন প্রায় ১৫কেজি৷ যেটির নাম NIUSAT৷ এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে তামিলনাড়ুর নুরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক৷
উপগ্রহগুলি মহাকাশে থেকে পৃথিবীর উপর নজরদারি চালাবে বলে জানা গিয়েছে। জলবায়ুর পরিস্থিতি, জমি সংক্রান্ত নানা তথ্য ও নেটওয়ার্কের বিষয়ে অনেক তথ্য দেবে। একইসঙ্গে পৃথিবীর নানাপ্রান্তের আরও উন্নতমানের ছবি পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে। যা বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে। প্রসঙ্গত, ইসরোর ইতিহাসে PSLV-C38-এর এই সফল উৎক্ষেপণকে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হবে। প্রথম স্থানে অবশ্যই থাকবে PSLV-C37 মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ। সর্বাধিক ১০৪টি উপগ্রহ নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ মহাকাশের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছিল রকেটটি।
Posted ১২:১৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta