বিশেষ প্রতিবেদক,মহেশখালী(১৫ জুন) :: গত তিন দিনের ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার অন্তত ১ হাজার পানের বরজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে স্থানীয় প্রায় ১৫ হাজার পানচাষি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে মহেশখালীতে ১৪ শ হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার বরজ পান চাষ হয়েছে। গত সোমবার ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে উপজেলার বড়মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর ও ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১ হাজার পানের বরজ ভেঙে মাটিতে মিশে গেছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে আরও ২ হাজার পানের বরজ বিধ্বস্ত হয়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পানের বরজে আবারও আঘাত আসায় লোকসান আতঙ্কে রয়েছেন মহেশখালীর অন্তত ১৫ হাজার পানচাষি।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, শাপলাপুর ইউনিয়নের মুকবেকি, ছাদেকারকাটা, কায়দাবাদ, জামিরছড়ি, মৌলভীকাটা, মিটাছড়ি, জেমঘাট, বারিয়াপাড়া, কাটালতলি, ও ষাইটমারার এলাকায় পাহাড়ে ও সমতল জমিতে মাটিতে পড়ে আছে অন্তত ২ শ পানের বরজ। একই অবস্থা কালারমারছড়া ও হোয়ানক ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার পানের বরজে।
শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি এলাকার পানচাষি মোহাম্মদ রবিউল আলম ও নুর কাদের বলেন, ২০ শতক জায়গায় পানচাষ করতে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। সময় লেগেছে চার মাস। বরজ থেকে পান বিক্রির সময়ে ঝড় বৃষ্টিতে সব মাটিতে মিশে গেছে। এখন কীভাবে পরিবার নিয়ে চলবেন ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
স্থানীয় শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইয়েদুল আলম বলেন, দু মাস আগে পান খেতে মড়ক ধরেছিল। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে হঠাৎ পানের দাম বেড়ে যায়। ফলে উৎপাদন কম হলেও বাড়তি দাম পেয়ে চাষিরা বেশ খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সেই খুশি এখন মাটি হয়ে গেল। দুর্যোগের কারণে পান চাষে এবারে লাভ তো দূরের কথা, চাষিদের লোকসান গুনতে হবে।
মহেশখালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবারের ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুই দফা দুর্যোগের কারণে ভালো নেই এলাকার পানচাষিরা।
Posted ৪:১১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta