এম রমজান আলী,মহেশখালী(১২ জুন) :: ঘূর্ণিঝঢ় মোরা’র ক্ষত কাটি উঠতে না উঠতেই আবারও টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় মহেশখালী উপজেলার ১০টি গ্রাম ও চিংড়ি ঘের প্লাবিত এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে গাছপালা উপড়ে পড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।মাতারবাড়ির ৬টি গ্রামে বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া গত ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহ্সান উল্লাহ বাচ্চু জানান, ধলঘাটা ইউনিয়নের উপকূলের মানুষ গুলোর দুর্ভোগের শেষ নেই। জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ধলঘাটার ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকা থেকে নৌকা ও ট্রলার দিয়ে মানুষদেরকে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
এদিকে মহেশখালীর উপদ্বীপ সোনাদিয়ার ডুবোচরে একটি বিশাল স্ক্যাপ জাহাজ আটকা পড়েছে। সোমবার ভোরের দিকে স্থানীয় লোকজন জাহাজটি দেখতে পেলেও জাহাজে কোন লোকজনকে দেখতে পায়নি বলে জানান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন।
বিকেলে আটকা পড়া ওই জাহাজে সোনাদিয়ার দুটি দস্যু বাহিনী মালামাল লুটপাট করতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পরে কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে বিদেশ থেকে নিলামে কেনা ওই জাহাজটি চট্টগ্রামের একটি কোম্পানী অন্য একটি জাহাজের মাধ্যমে টেনে নিয়ে আসার পথে সোনাদিয়ার ডুবোচরে আটকা পড়ে। পরে সেটি ভাসতে ভাসতে তীরের কাছে এসে আটকে যায়। জাহাজটিতে কোন লোকজন না থাকায় স্থানীয় লোকজন সাতরিয়ে জাহাজে উঠে মালামাল লুটপাট করে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি শুনার পর মহেশখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
Posted ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta