আবদুর রাজ্জাক(২৩ জুন) :: দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে গত ৩০ মে ঘূর্ণীঝড় মোরার কবলে পড়ে কক্সবাজারের উপকুলীয় দ্বীপ মহেশখালী উপজেলার ৫ টি ফিশিং ট্রলারের নিখোঁজ ৫৩ জন মাঝি-মাল্লার প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৫’হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ২৩ জুন শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উদ্দ্যাগে উপজেলা পরিষদ হল রুমে নিবার্হী অফিসার মো: আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাকিবুল হাসান সাকিবের সঞ্চালনায় আয়োজিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এম.পি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এম.আজিজুর রহমান বি.এ,সাবেক বৃহত্তর গোরকঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামশুল আলম,সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছালেহ আহমদসহ নিখোজঁ মাঝি-মাল্লার পরিবারের সদস্যরা।
ত্রাণ বিতরণকালে প্রধাণ অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল¬াহ রফিক এম.পি বলেন,সরকারের তরফ থেকে নিখোজঁ প্রত্যেক পরিবারকে পূর্নবাসন করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং নিখোঁজ জেলেদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া দায়িত্ব তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে চালিয়ে নেওয়া ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভা শেষে সাগরে নিখোজঁ মহেশখালী উপজেলার ৫৩ জন মাঝি-মাল্লার প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদেরকে নগদ ৫’হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়।
নিখোজঁ মাঝি-মাল্লারা হলেন,মনিরুল কাদের,জামাল হোসেন,আমান উল¬াহ মাঝি,মিজানুর রহমান, শহীদুল¬াহ, আরাফাত,নজরুল ইসলাম,এহেছান উল¬াহ,মীর কাশেম মেইঠ্যা,সারজান,মনিরুল হক মলই,আলতাজ মিয়া,আব্দুল করিম,খলিল আহাম্মদ,মোক্তার আহাম্মদ, লোকমান,সোহেল,বদি আলম,এমরান,আমানুল করিম,জাবের,মামুন,মোহাম্মদ জহির,আবু ছিদ্দিক, এবাদুল করিম,গফুর বাবুর্চি,মনিরুল¬াহ মনি,ইছাহাক মিয়া,মোস্তাক আহাম্মদ চুইণ্যা,আনচার ড্রাইভার, গোলাম হোসেন,মো: হোছেন কালইয়া মাঝি,বেলাল হোসেন,নূর মোহাম্মদ,শাহাব উদ্দিন,নেছার মাঝি,আবু হামিদ,আজাদ ড্রাইভার,শামসুল আলম,চৈয়দ উল¬াহ,জাবেদ উল¬াহ,ফজল করিম,মমতাজ বাবুর্চি,ইয়াছিন,নুরুল হোসেন,মো: হোছন মাঝি,শাহাব মিযা,খাইরুল আমিন,আব্দুল মোতালেব ও নুরুল আবছার।
উল্লেখ্য,মহেশখালী উপজেলার ৫ ফিশিং ট্রলার মাছ ধরতে গিয়ে গত ৩০ মে ঘূর্ণীঝড় মোরার কবলে পড়ে সাগরে ডুবে গেলে ট্রলারে থাকা ১’শত ৪৬ জন মাঝি-মাল্লার মধ্যে থেকে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলেসহ একাধিক পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন দফায় নৌ-বাহিনী,ভারতের ত্রাণ বাহী নৌ জাহাজ সুমিত্রা,ও সোনাদিয়া চ্যানেলে বিভিন্ন দফায় মনিরুল কাদের ও জামাল হোসেনের নামের ২ জন জেলের লাশসহ জীবিত অবস্থায় ৯৪ জন মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করলেও বাকি ৫১ জন মাঝি-মাল্লার সন্ধান র্দীঘ ২০ দিনে অতিক্রম হলেও এখনো পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান মিলেনি।
ফলে তাদের পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্দ্যেগ ও উৎকণ্টায় দিন কাটাচ্ছে। তাদের ধারনা নিখোজঁ জেলেরা হয়তো আর বেচেঁ নেই।
পরিবারের কর্তা হিসাবে সাগরে নিখোজঁ হওয়ায় তাদের পরিবারে বুক ফাটা আর্তনাদ, খাদ্য, চিকিৎসা,বস্ত্র ও বাসস্থানের চরম অভাবের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
Posted ৬:৩২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta