বিশেষ প্রতিবেদক,মহেশখালী(১৯ জুন) :: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী-চালিয়াতলী সড়কের দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটার। এর মধ্যে অন্তত আধা কিলোমিটার সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভাঙা অংশ পাড়ি দিতে হচ্ছে নৌকায়। ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে সড়ক তলিয়ে গেলে এই অবস্থা হয়। এর আগে সড়কের দেড় কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা ছিল। এখন ওই অংশের আধা কিলোমিটার একেবারেই বিলীন হয়েছে।
এ সড়ক দিয়ে মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ যাতায়াত করে। চলাচল করত সিএনজিচালিত অটোরিকশা, জিপ ও পণ্যবাহী ট্রাক।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে সড়কটি প্রতিবছর ভেঙে যাচ্ছে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ভাঙা সড়কটি সংস্কারের জন্য সাংসদ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীকে বলা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, মাতারবাড়ী-চালিয়াতলী সড়কের আধা কিলোমিটার অংশ ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের কবলে পড়ে উপজেলার গোরকঘাটা-শাপলাপুর, জনতাবাজার ও গোরকঘাটা-ঘটিভাঙা পাকা সড়কের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫ কিলোমিটার ভেঙে যায়। এ ছাড়া আট ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কের ৫০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মাঝখানে ধারা খালের পাশে উত্তর-পশ্চিমে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক ভাঙা। ভাঙা অংশ কাদায় ভরা। গাড়ি তো দূরের কথা হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন ভাঙা অংশ নৌকায় পারাপার হচ্ছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দিন বলেন, নৌকা দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেওয়ার খরচ বেড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিচ্ছিন্ন সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আলী বলেন, সড়কে গাড়ি চালিয়ে তাঁর সংসার চলে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ। ফলে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে কষ্টে দিন কাটছে।
জানতে চাইলে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সংস্কারকাজ শুরুর আগে সড়কের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। তাই সড়কটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Posted ১:৩২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy