বিশেষ প্রতিবেদক,মহেশখালী(৮ জুন) :: মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর সত্যতা স্বীকার করেছে।
এজাহার সুত্রে জানাগেছে, ২২মে অনুমান সকাল ১০টার সময় ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়া এলাকার বখাটে ছেলে সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে কাইছার, ইসমাঈল, মুর্শিদা আক্তার, রহিম বাদশা ও জালাল আহমদের সহযোগীতায় একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের টানা দু’বারের সফল ইউপি সদস্য ওসমান গণি’র কণিষ্ঠ মেয়ে শাবনূর আক্তার কে জোরপূর্বক অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে নিয়ে যাই। জন্ম নিবন্ধন কার্ড মতে, শাবনূর আক্তারের জন্ম তারিখ ০১-০২-২০০০ইং।
উক্ত ঘটনা নিয়ে অপহৃত শাবনূর আক্তারের পিতা ওসমান গণি বাদী হয়ে সাদ্দাম হোসেন কে প্রধান করে অপরাপর কাইছার, ইসমাঈল, মুর্শিদা আক্তার, রহিম বাদশা ও জালাল আহমদ কে আসামী করে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
অপহরণ মামলা থেকে রেহাই পেতে মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে(০১-০২-২০০০), প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা বানানোর জন্য একটি স্থানীয় পত্রিকায় মনগড়া শাবনূরের বয়স (১৯), দীর্ঘদিনের ভালবাসা, স্কুল ছাত্রীর উপর হামলা, বয়স্ক পিতা-মাতাকে হয়রাণী এবং সাদ্দামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট সহ আরো কিছু আজবাজ কথা পত্রিকায় লিখে প্রশাসন ও সর্বস্থরের জনগনকে বিভ্রান্ত করার জন্য পায়ঁতারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এমন অভিযোগ মামলার বাদী ওসমান গণি মেম্বারের।
এ ব্যাপারে অপহৃত শাবনূর আক্তারের পিতা অপহরণ মামলার বাদী ওসমান গণি মেম্বার জানান, সাদ্দাম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে অপহরণ, স্ব-পরিবারে খুন, এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসচ্ছে।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, তদন্ত চলছে দোষী প্রমানিত হলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সহযোগীতাকারীদের বিরোদ্ধে ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৯:৪১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta