কক্সবাংলা ডটকম :: বর্তমান যুগ আধুনিকতায় মোড়া। এখন মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, সকলেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
অফিসের কাজ হোক বা অনলাইন ক্লাস, নানা কারণে মোবাইল ফোন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তবে এযুগের শিশুরা আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
তাদের এই এগিয়ে থাকা কখনে গর্বের, আবার কখনও আক্ষেপের। আক্ষেপের একটা কারণ হয়তো অনেক কম বয়সে প্রযুক্তির সঙ্গে অতি মেলামেশার বিষয়টি।
প্রাপ্তবয়স্করা মাঝে মাঝে স্ক্রিন টাইম সীমিত (Limit screen time) করলেও শিশুদের স্ক্রিন টাইম কমানো বেশ কঠিন (Reducing children’s screen time is hard) হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিভাবকরাই সারাদিন ফোনের অত্যাধিক ব্যবহার (Excessive use of mobile phones) করছে। আর শিশুরা যা দেখে তাই শিখে ফেলে।
তাই বাবা-মাকে ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’ মোবাইল ব্যবহার করতে দেখে শিশুদেরও এর প্রতি আগ্রহ জন্মাচ্ছে। ধীরে ধীরে শিশুরাও মোবাইলকে নিজের সঙ্গী করে ফেলছে।
এদিকে অভিভাবকেরাও সময় বাঁচানোর জন্য শিশুর হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন।
আর এতেই হয়ে যাচ্ছে মস্ত বড় ক্ষতি! আজকাল শিশুদের মধ্যে মোবাইল আসক্তি একটি রোগে পরিণত হয়েছে।
মোবাইল আসক্তি শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস করে, যা ভবিষ্যতে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদির মতো অনেক রোগের কারণ হতে পারে।
শুধু তাই নয়, মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুরা সামাজিকীকরণ করতে পারে না, যার কারণে তাদের মানসিক অবস্থারও সহজেই অবনতি হতে শুরু করে।
মোবাইল আসক্তি শিশুর স্বাস্থ্য এবং তার ভবিষ্যতের জন্য সব দিক থেকেই অভিশাপ। কাজেই সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিলে এর খারাপ পরিণতি এড়ানো সম্ভব।
এমন পরিস্থিতিতে, আপনার শিশুর মোবাইল আসক্তি থেকে বাঁচানোর কিছু কার্যকর উপায় (Some effective ways to save children from mobile addiction) সম্পর্কে জেনে নিন-
যখন পুরো পরিবার একই নিয়ম অনুসরণ করে, তখন শিশুরও এটি অনুসরণ করতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। শিশুরা কেবল তাদের কাছে যা আছে তা নয়, বরং বাড়ির অন্যদের কাছে যা আছে তার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।
কিন্তু যখন স্ক্রিন টাইম সংক্রান্ত একই নিয়ম সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে, সে শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, তখন তারা সহজেই তাদের বড়দের দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে এবং তা অনুসরণ করবে।
আপনার শিশুকে যতটা সম্ভব বাইরের কার্যকলাপে জড়িত করুন। যাতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং স্ক্রিন টাইমের জন্য সময় না পায়। এতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে এবং তারা মানসিকভাবেও সুস্থ থাকবে।
প্রায়শই বাবা-মায়েরা হোমওয়ার্ক শেষ করার পর বা খাবার শেষ করার পর মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বলেন। এর ফলে তারা মনে করে যে মোবাইল ফোন একটি পুরষ্কার, যা কিন্তু একেবারেই ভুল। তাই মোবাইল ফোন পুরষ্কার বলে কোনওদিনই শিশুকে বোঝাবেন না।
একদিন বা সপ্তাহে আপনার কতটা স্ক্রিন টাইম রাখবেন, তা নির্ধারণ করুন। এর বেশি ভুল করেও শিশুকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেবেন না। এটি তাদের নিয়ম ভাঙতে উৎসাহিত করবে না।
Posted ৯:১১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta