লেবার পার্টির হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জয় পেলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি এবং শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক। লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে তিনি জয়ী হয়েছেন। ২০১৫ সালেও একই আসন থেকে লড়ে জয় পেয়েছিলেন টিউলিপ।
এবার বাংলাদেশি এ রাজনীতিক লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। গতবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান ছিল এক হাজারের একটু বেশি । সেই তুলনায় এবার ১৪.৬ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।
টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক লন্ডনের মিটচ্যামে ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এবং রাজনীতি, নীতি ও সরকার বিষয়ে দুইটি মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। টিউলিপের প্রতিদ্বন্দ্বিরা ছিলেন- লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির ক্রিস্টি এ্যালান, কনজারভেটিভ পার্টির ক্লেয়ার লুইস লেল্যান্ড, গ্রীন পার্টির জন ম্যানসক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হুফ ইস্টারব্রুক ও রেইনবো জর্জ ওয়েইস। ২০১৫ সালে টিউলিপ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিনের ছায়া মন্ত্রিসভায় নিযুক্ত হন। চলতি বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিলের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। এ কারণে তিনি লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
বিশ্বের অন্যতম পরাক্রম রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটেনের নির্বাচন বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া টিউলিপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি।
প্রথমবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে নানা ইস্যুতে সর্বদাই সরব থেকেছেন টিউলিপ। স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমের নজর কেড়েছেন তরুণ এই রাজনীতিক। টিউলিপের আসন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নে ভোটারদের মধ্যে উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের আধিক্য। তবে অনেক দরিদ্র মানুষও আছেন, আছেন প্রায় হাজারখানেক বাংলাদেশি ভোটার।
গতবার টিউলিপ জিতেছেন মাত্র এক হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে। তবে এবার ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি লেবার পার্টির সেসব আসনে জয় পেতে মরিয়া ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিউলিপই জিতলেন।
এ আসনে গতবারের তৃতীয় দল লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির ভোটাররাও বেশ সরব ছিল। তাদের প্রার্থী কার্সটি অ্যালান আশা করেছিলেন, ব্রেক্সিটের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান তাকে বড় সুবিধা দেবে। ফলে টিউলিপকে এবার লড়তে হয়েছে প্রবল দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে তার কপালে ভাজ ফেলেছিল অভিবাসনবিরোধী কট্টর ডানপন্থী দল ইউকেআইপি।