কক্সবাংলা ডটকম(১২ জানুয়ারী) :: প্রকাশ্যে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেও পর্দার আড়ালে সম্পর্ক উন্নয়নে গোপন বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শীর্ষ নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলতে ইসলামাবাদ ঘুরে গেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে চাইছেন তারা। খবর ট্রিবিউন এক্সপ্রেস।
সম্প্রতি টুইটার বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসবাদে মদদদানের অভিযোগ আনার পর গত ৫ জানুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত সাহায্য স্থগিত রাখার ঘোষণা আসে।
তবে ট্রাম্পের ঘোষণার পরও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাতিস পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন। এবং বলেছেন, আপাতত সহায়তা স্থগিত করা হলেও পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত মিত্রতা বজায় রেখে চলবে যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে বেঈমান হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, হাক্কানি নেটওয়ার্ক, তালেবান ও লস্কর-ই-তৈয়বার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে রসদ ও তহবিল দিয়ে চলেছে পাকিস্তান সরকার।
তবে এসবের বিপরীতে দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ ফয়সাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে তৎপর রয়েছে। যেহেতু সংবাদমাধ্যমের নজরের বাইরে এই আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে, তাই আমরা এর বিস্তারিত বলতে পারব না।
Posted ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta