কক্সবাংলা ডটকম(৩ সেপ্টেম্বর) :: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সম্পর্কে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি (ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক) গত এপ্রিল প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যেখানে বিশ্বের অন্যদের মত বাংলাদেশও এই অঞ্চলে অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং আইনের শাসন দেখতে চায়।
তবে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে আগ্রহী, সামরিক জোটে নয়।
ঢাকা-ওয়াশিংটন নবম নিরাপত্তা সংলাপ মঙ্গলবারআগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নবম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপে ঢাকার পক্ষ থেকে এমন বার্তা ওয়াসিংটনকে পুর্নবার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আসন্ন নিরাপত্তা সংলাপে ঢাকার পক্ষ থেকে র্যাবের ওপর নিষেধ্বাজ্ঞা প্রত্যাহার গুরুত্ব পাবে। ওয়াশিংটনের পক্ষে জিসমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট) এবং আকসা (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিং এগ্রিমেন্ট) নামের দুইটি সামরিক চুক্তি এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) গুরুত্ব পাবে।
তবে এরই মধ্যে এই দুইটি চুক্তি ইস্যূতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তি হওয়ার সম্ভাবণা নাই। আসন্ন সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন, সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলা, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে।
এছাড়া এই সংলাপের বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলাপ তুলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটি হলে জবাব দেওয়ার জন্য আগামী প্রস্তুতি রেখেছে ঢাকা কূটনীতিকরা।
সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দিবেন দেশটির রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত উপসহকারী সেক্রেটারি মিরা রেসনিক। যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র স্থানান্তর ব্যুরো বিষয়ক অফিসের তত্ত্বাবধান করেন মিরা রেসনিক।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংলাপে নেতৃত্ব দিবেন।
ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস রোববার জানিয়েছে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নবম বার্ষিক যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপের আয়োজন করেছে দুইপক্ষ। নিরাপত্তা সংলাপ একটি বার্ষিক, বেসামরিক আয়োজন যেখানে আমাদের নিরাপত্তা সম্পর্কের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা, এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আলোচনা করবেন। এই সংলাপ আমাদের দুই সরকারের মধ্যেকার সর্বাঙ্গীন নিরাপত্তা সম্পর্কের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজনৈতিক সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী সেক্রেটারি সেক্রেটারি মিরা রেজনিক।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারিত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের দুইটি দেশের স্বার্থ অভিন্ন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত, অবারিত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে দেশ দুইটির দৃষ্টিভঙ্গি একই ধরনের।
এই পারস্পরিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সংলাপ আয়োজিত হয়। এই বছরের নিরাপত্তা সংলাপটি, ঢাকায় ২৩ এবং ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপের খুব কাছাকাছি সময়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে।
দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সামরিক সম্পর্কের জন্য সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন সামরিক শিক্ষা, শান্তিরক্ষা এবং আগামী বছরের দুর্যোগে সাড়াপ্রদান বিষয়ক অনুশীলন এবং বিনিময়সহ আসন্ন সামরিক মহড়া নিয়ে আলোচনা করেন।
Posted ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Chy