কক্সবংলা ডটকম :: ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যে ১৯ মে ইরানের উত্তরাঞ্চলে আজারবাইজান সীমান্তের কাছে পার্বত্য এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
এতে ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও তাদের সফরসঙ্গীরা নিহত হন।
এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইরান সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্তের ঘটনায় কোনো নাশকতা বা হামলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। খবর তাসনিম নিউজ।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রকাশ করা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে একটি তদন্তকারী দল গঠিত হয়। তদন্তকারী দলের সদস্যরা গত সোমবার দুর্ঘটনাস্থলে যান।
দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি পুরো পথ ধরে তার পূর্বনির্ধারিত পথেই ছিল এবং ফ্লাইট রুট থেকে বিচ্যুত হয়নি। দুর্ঘটনার দেড় মিনিট আগেও বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারের পাইলট প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুই হেলিকপ্টারের পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
কন্ট্রোল টাওয়ার ও ফ্লাইট ক্রুদের কথোপকথনেও সন্দেহ করার মতো কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারে বুলেট বা অনুরূপ কোনো জিনিসের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় একটি পর্বতে। এর পরই সেটিতে আগুন ধরে যায়।
কুয়াশা ও নিম্ন তাপমাত্রার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছিল। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় ড্রোনের সহায়তায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা শনাক্ত হয়।
দুর্ঘটনার সময় ওয়াচটাওয়ার ও ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে কথোপকথনে কোনো সন্দেহজনক কিছু শনাক্ত করা হয়নি বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে তদন্ত এগিয়ে যাওয়ার পর আরো বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
ইরানের উড়োজাহাজ বহরের অনেকগুলো আকাশযানই ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হয়েছিল। তবে তেহরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তারা পশ্চিমা দেশগুলো থেকে কোনো নতুন আকাশযান বা খুচরা যন্ত্রাংশ কিনতে পারছে না। ফলে বহরের আধুনিকায়নও করা যাচ্ছে না।
এদিকে অনেকগুলো উড়োজাজাহ বিধ্বস্তের ঘটনার কারণে ইরানের উড়োজাহাজ নিরাপত্তা খুব দুর্বল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে ইরান পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর চারদিন পর বৃহস্পতিবার রাইসিকে শিয়া মুসলিমদের পবিত্র শহর মাশহাদে দাফন করা হয়।
বর্তমানে মোহাম্মদ মোখবার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ২৮ জুন ভোটের মধ্য দিয়ে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।
Posted ৩:০৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta