কক্সবাংলা ডটকম(১৯ জুলাই) :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সরকারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী, নিবন্ধন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নিবন্ধন বঞ্চিতরা। তাই ইসি ঘেরাওয়ের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বঞ্চিত দলের নেতারা।
তবে ইসি বলছে, রাজনৈতিক দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনও বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। বিধিবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কিছু করা হয়নি। বিষয়টি স্পষ্ট ও স্বচ্ছ। নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এর উত্তর নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। এ বিষয়টি আরও স্পষ্ট হওয়া দরকার।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ (২০১২ পর্যন্ত সংশোধিত) এর বিধি ৩ অনুসারে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০(ক) এর অধীন নিবন্ধন করতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোকে ২৯ আগস্ট ২০২২ তারিখের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার আহ্বান করে ২৬ মে ২০২২ তারিখে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
পরবর্তীতে কতিপয় দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ৩০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করে যা ২৯ অক্টোবর ২০২২ তারিখে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে ৯৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। পরবর্তীতে ২টি দল তাদের দাখিলকৃত নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০(খ) এ উল্লিখিত নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণ করতে না পারায় ৭৯টি দলের আবেদন প্রাথমিকভাবে নাকচ হয়। অবশিষ্ট ১২টি দলের দাখিলকৃত দলিলাদি উল্লিখিত শর্তাবলি প্রাথমিকভাবে পূরণ করে মর্মে বিবেচনা করা হয়।
পরবর্তীতে মাঠ পর্যায়ে এ ১২টি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, জেলা কার্যালয়, উপজেলা কার্যালয়ের তথ্যাদি এবং ২০০ ভোটার বা সমর্থকের সঠিকতা যাচাই করে চূড়ান্তভাবে ২টি দলের (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, প্রতীক-একতারা), (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, প্রতীক-নোঙর) মাঠ পর্যায়ের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রাজনৈতিক দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইন ও বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। বিধিবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কিছুই করা হয়নি।
এর আগে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কথায় চলে না। কোনো গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে কাজও করে না। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তবে ইসির এই বক্তব্য মানতে নারাজ নিবন্ধন বঞ্চিতরা।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেসক্রিপশনে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে পরিচিত ও স্বীকৃত ক্রিয়াশীল দলকে বাদ দিয়ে অখ্যাত-অপরিচিত দলকে নিবন্ধন প্রদানের প্রতিবাদ’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলন করেন নিবন্ধন বঞ্চিত ১০ দল।
এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের নির্দেশনায় দুটি দল ছাড়া কাউকে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তারা বলছেন, রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে পরিচিত ও স্বীকৃত ক্রিয়াশীল দলগুলোকে নিবন্ধন না দিয়ে নির্বাচন কমিশন অন্যায় আত্মপ্রতারণা করেছে। নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত সব আইনকানুনকে ভঙ্গ করেছে ইসি।
নিবন্ধন প্রত্যাশী দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এটা একটা চূড়ান্ত অবিচার, যদিও অবাক হইনি। এই নির্বাচন কমিশন তো সরকারের ইচ্ছে পূরণের হাতিয়ার। এই ইসির হাতে ভালো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা তার আর একটা প্রমাণ।
নিবন্ধন ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে, সদ্য নিবন্ধন পাওয়া দুটি দলের মধ্যে বিএনএমের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা। বিএনএমের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুর রহমান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য।
২০২১ সালে যখন দলটি গঠন করা হয় তখন বিএনপির নীতি-িনর্ধারকেরা অভিযোগ করেছিলেন, এই দল গঠনের পেছনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকারের কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগ ঘেঁষা একটি রাজনৈতিক জোটেরও চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশে সম্প্রতি দুটি স্বল্পপরিচিত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার পর প্রত্যাশী অন্য দলগুলো নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছে, নির্বাচনের আগে নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যথাযথ যাচাই শেষেই নিবন্ধন দেওয়া-না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার নিবন্ধন পেতে ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ১২টি দলকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তথ্যে গরমিল থাকার কথা জানিয়ে বাকি ১০টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামে যে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে; তাদের পরিচিতি নেই বললেই চলে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ নিবন্ধন প্রত্যাশী কয়েকটি দল।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন তো সরকারের ইচ্ছা পূরণের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তাদের বিন্দুমাত্র নিরপেক্ষতা নেই। সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠানটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে। নিবন্ধন দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টিকে তারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।’
তিনি বলেন, ‘এতগুলো সুপরিচিত, সক্রিয় এবং রাজপথে সংগ্রামরত রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তাদের নাম আপনারা কয়জন শুনেছেন? তাদের কি আপনারা চেনেন? তাদের কি আদৌ কোনো অফিস, নেতাকর্মী আছে?’
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমাদের জানামতে নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনেও আমাদের দল নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল। ৩৬টি জেলা-মহানগর আর ১০৪টি উপজেলায় আমাদের দলের অফিস কমিটি থাকার তালিকা জমা দিয়েছি। কিন্তু সরকারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনোরকম হস্তক্ষেপ করি না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন, তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবেই কাজ করার সক্ষমতা আছে, এখানে হস্তক্ষেপের বা সরকারের ভূমিকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’
সামরিক সরকার সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন শুরু হয়। এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীক অলিখিতভাবেই নির্ধারিত ছিল। মনোনয়ন দেওয়ার পর সেই প্রতীকেই প্রার্থীরা নির্বাচন করতেন। নতুন রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হতো চাহিদা অনুযায়ী, কখনো কখনো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নির্দিষ্ট প্রতীক নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিবন্ধন করার প্রথা চালু করা হয়।
সেই সময় এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বলেছিল, নিবন্ধিত না হলে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন করতে পারবে না। সেই সময়কার নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন জানান, মূল উদ্দেশ্য ছিল, একটা যোগ্যতা নিয়ে যেন রাজনৈতিক দলগুলোই নির্বাচনে অংশ নেয়। না হলে অর্থের অপচয় হয়, রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার হয়, এজেন্টরা বসতে পারে না, ব্যালটে অসংখ্য প্রতীক দিতে হয়, কিন্তু তারা হয়তো এক পার্সেন্ট ভোটও পায় না। ফলে নির্বাচনের উপযুক্ত দলগুলোকে নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল।
শুরুর দিকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালুর বিরোধিতাও করেছিল বাম মোর্চা এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মতো কিছু রাজনৈতিক দল। এর বিরুদ্ধে রিটও হয়েছিল। যদিও তাতে শেষ পর্যন্ত ঠেকানো যায়নি। সেই বছর ১১৭টি আবেদন পড়লেও শর্তসাপেক্ষে ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। এর প্রায় ১৫ বছর পর সেই নিবন্ধন প্রক্রিয়াকেই রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘তারা যে অভিযেগ করেছে তার আদৌ কোনো ভিত্তি নেই। আমরা সব যাচাই-বাছাই করে, যে প্রক্রিয়ায় করতে হয়, সেই নিয়ম মোতাবেক আমরা সবকিছু করেছি। মাঠ পর্যায়ে যেসব অফিস বা লোকবল থাকতে হবে, সেগুলো যাচাই করে, অনুসন্ধান করে দেখেছি। তাতে দুটা দলের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া গেছে, তাদের আমরা নিবন্ধন দিয়েছি। বাকিগুলোর শর্টফল (ঘাটতি) ছিল, তাই তাদের দেয়া হয়নি। তিনি জানান, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন ২০২০ অনুযায়ী, তাদের আর নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচনের আগে তাদের নতুন করে আবেদন করারও সুযোগ নেই।’
তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের প্রভাব আছে কিনা, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও তারা যে দুটি দলের নিবন্ধন দিয়েছে, তাদের নিয়ে বেশ প্রশ্ন উঠছে। এখন ইলেকশন কমিশনের উচিত পরিষ্কার করে দেওয়া, তালিকা দিয়ে দেওয়া যে কীভাবে কোথায় কোন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের নিবন্ধন দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, দুটা দল, যাদের নাম আমি কখনো শুনিনি, আরও অনেকে শোনেনি, তারা নিবন্ধন পেল। অথচ কিছু দল আছে যারা বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন করছে, মিটিং মিছিল করছে, তারা নিবন্ধন পেল না। ফলে সবার সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক।
নিবন্ধনের দাবিতে আগামী ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে পদযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নুরুল হক নুর এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, রাজপথের সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন না দিয়ে সরকারের অনুগত ও গোয়েন্দা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় সৃষ্ট নামসর্বস্ব, ভূঁইফোড় দুটি দলকে নিবন্ধনের জন্য চূড়ান্ত করার প্রতিবাদে আগামী ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
বর্তমান কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে নুর বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। এর আগে বিএনপির পদযাত্রার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পুরানা পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পদযাত্রা বের করে গণঅধিকার পরিষদ। পদযাত্রার মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজার মোড়ে এসে শেষ হয়।
Posted ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta