বার্তা পরিবেশক(৫ আগস্ট) :: রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নে গরু চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে দিন দিন। বিশেষ করে কচ্ছপিয়ায় চক্রটি তৎপর রয়েছে বেশ কয়েক মাস। তারা শুধু এলাকায় নয়,মিয়ানমার থেকে পর্যন্ত গরু চুরি করে স্থানীয় ও আশপাশের বাজার সমূহে বিক্রি করছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে।
চক্রটি গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ধরনের তথ্যে গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গর্জনিয়া বাজারের লোকাল ইজারাদারের হাতে। নিশ্চিত হওয়ার পরে খবর দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে চোরা গরু । পাশাপাশি আটক হয় চোর চক্রের প্রধানও।
ইজারাদার এম সেলিম ও গরুর মালিক ফকির মোহাম্মদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চোর চক্রের সদস্য শামশুল আলম,মো: বেলাল , ফয়েজ আহমদ ও কাদের সহ চক্রটি গর্জনিয়া বাজারে ইজারাদার এম সেলিমদের নিকট ৬০ হাজার টাকার দামের একটি গরু মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বিক্রির রশিদ করতে আসলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে চুরি তৎপরতার।
তখন ইজারাদারদের সন্দেহ হলে তারা স্থানীয় গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িঁকে খবর দেয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যে। পুলিশ এসে দেখতে পান বিক্রিত গরুটি চুরি করা। পুলিশ দলটি গরুটি উদ্ধার করে মালিকের হাতে ফেরত দেয়।
পক্ষান্তরে গরু চোরকে আটক করতে গেলে চোরের দলটি দ্রুত পালিয়ে গেলেও চক্র প্রধান শামশুল আলমকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হন। ইজারাদার সেলিম আরো জানান,এ বিষয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ সহ রামু থানায় একটি গরু চুরির মামলা হয় দাবী করেন তিনি। আর এ মামলায় আটক হয় ১ গরু চোর।
এদিকে এলাকাবাসী জানান,সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে এ গরু চোরের দল সহ আরো ২০টি গরু চোর চক্র অপতৎপর রয়েছে। যারা সীমান্ত পার করিয়ে মিয়ানমারে চোর পাঠিয়ে বা নির্যাযিত রোহিঙ্গাদের গরু বিক্রি ক্রয় করার মিথ্যা কথা বলে সে দেশের গরু,ছাগল, মহিষ সহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রি চুরি করে বাংলাদেশের সীমান্ত বাজার সমূহে এনে বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। যা সীমান্তের থাকা অনেক দায়িত্বশীল বাহিনী’র কাছে খবর থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা ব্যবস্থা নেন না। এ কারণে চোর চক্রের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন।
Posted ১১:০১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta