কক্সবাংলা ডটকম(৯ নভেম্বর) :: আমির খান ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত তুমুল সাড়া জাগানো ছবি ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ মুক্তির আগে থেকে জানান দিয়েছিল, বক্স অফিস হিট করে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়ে তবেই ক্ষান্ত হবে। এ নিয়ে নানা রকম হিসাব-নিকাশও সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এসব সমীকরণই এবার বাস্তব করে দেখাল থাগস অব হিন্দুস্তান।
ছবিটি ভারতের প্রায় পাঁচ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির প্রথম দিনে ৫০ কোটি রুপি আয় করে একদিনের হিসাবে সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রির রেকর্ড গড়েছে বলে জানাচ্ছে বক্সঅফিসইন্ডিয়া.কম।
মাধ্যমটি বলছে, এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৫ সালের দিওয়ালি উৎসবে মুক্তিপ্রাপ্ত সালমান খান অভিনীত ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবি এবং ৪০ দশমিক ৭৩ কোটি রুপি আয় করা ‘বাহুবলী-দ্য কনক্লুশন’ ছবির দখলে।
শুধু তাই নয়, এটাও বলা হচ্ছে, দিওয়ালি উপলক্ষে গত ৪০ বছরে যত ছবি মুক্তি পেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আমিরের থাগস অব হিন্দুস্তানই সবচেয়ে সেরা। এর রেকর্ড এখানেই থেমে থাকছে না। মুক্তির আগে টিকিট বিক্রির সর্বকালের রেকর্ডেও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
বলা হচ্ছে, মুক্তির আগে টিকিট বিক্রির এ রেকর্ডে শুধু তামিল ছবি বাহুবলী-দ্য কনক্লুশন ও হলিউডের ‘অ্যাভেঞ্জারস ইনফিনিটি ওয়ার’ রয়েছে থাগস অব হিন্দুস্তানের আগের দুই অবস্থানে। আর বলিউডের ইতিহাসে থাগস অব হিন্দুস্তানই প্রথম এ রেকর্ড গড়ল।
ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা যশ চোপড়া ফিল্মসের প্রথম দিনের বক্স অফিস হিসাব মতে, থাগস অব হিন্দুস্তান ৫০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে। গতকাল সকালে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। চলচ্চিত্র পরিবেশকদের কেউ কেউ এটাও নিশ্চিত যে, আজকালের মধ্যেই থাগস অব হিন্দুস্তান ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে যাবে।
তবে ছবিটি নিয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো রিভিউ এসেছে, সেগুলোতে সমালোচকরা এ ছবি নিয়ে নিজেদের স্পষ্ট হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ছবিটির গল্পের গাঁথুনি সে রকম জুতসই না হলেও মুক্তির আগে থেকে নিত্যনতুন প্রচার-প্রচারণার কারণে দর্শক তা দেখতে বাধ্য হয়েছে।
এছাড়া দিওয়ালির মতো উৎসবও দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে নিয়ে যাওয়ায় প্রভাব রেখেছে। ফলে বিপুলসংখ্যক দর্শক ভিড় করছে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখতে।
এনডিটিভিতে সমালোচনা করে বলা হয়েছে, নিপুণ উপস্থাপনশৈলী দর্শকদের মুগ্ধ করলেও বিষয়ের তাত্পর্য আর গভীরতার সূত্র ধরে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্যে পৌঁছতে পারেনি থাগস অব হিন্দুস্তান। আবার পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ানের জনি ডেপের মতো সাজে যে আমির নিজেকে রূপায়ণ করেছেন, তা নিয়েও বেজায় চটেছেন অনেকে।
কারো কারো বক্তব্য, ফিরাঙ্গি বেশে নিজের চরিত্রকে আমির একেবারে ভাঁড়ামো ও হালকা করে উপস্থাপন করেছেন। আবার এর বিপরীতে আজাদ নামে যে চরিত্রে অমিতাভ বচ্চন অভিনয় করেছেন, তা ছিল অত্যন্ত ভারিক্কি ও গুরুগম্ভীর। দুই চরিত্রের এ ভারসাম্যহীনতা দর্শকের চোখে লেগেছে। তবে এত কিছুর পরও মারদাঙ্গা ছবি হিসেবে থাগস অব হিন্দুস্তান সফলতার মুখ দেখাচ্ছে ও দেখিয়ে যাবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভি
Posted ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta