কক্সবাংলা ডটকম(১২ নভেম্বর) :: মিয়ানমারে ১৯৭৭-৭৮ সালের ড্রাগন কিং (নাগা মিন) অভিযানের পর হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল; যদিও পরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয় এবং উত্তেজনার সাময়িক প্রশমন হয়। প্রত্যাবাসন করানোর নীতি প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন মোটেও সহজ ছিল না। এরপর সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের মতো সমস্যা আরও হয়, বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকের প্রথমদিকে। তবে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর আগমন শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্টে।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার একটি প্রত্যাবর্তন চুক্তি স্বাক্ষর করে। তবে দুই পক্ষ প্রত্যাবাসনের সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া বা প্রত্যাবাসন সম্পূর্ণ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমার বিষয়ে একমত হয়নি। এরপর আরও দু’বার সক্রিয়ভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চালানো হয়, যা সফল হয়নি। সব মিলে পূর্ববর্তী শরণার্থী প্রত্যাবাসন ইতিহাস, অং সান সু চি ও সামরিক সরকারের বারবার আশ্বাসের কারণে বাংলাদেশ সরকার শরণার্থী প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে মিয়ানমার সরকারের আচরণ ও কাজে বিন্দুমাত্র এর কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য তালিকা প্রণয়নের পরও আশাব্যঞ্জক কিছু হয়নি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর এখন পর্যন্ত আট দফায় দেশটির কাছে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৬ জনের তালিকা জমা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে মিয়ানমার সরকার মাত্র ৬০ হাজার ৮৬৪ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে ফেরত দিয়েছে (শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, কক্সবাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে)।
মিয়ানমার তাদের নিজের তালিকা অনুযায়ী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও শুরু করেনি। ২০২১-এর জানুয়ারিতে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ মিয়ানমারের একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয়; যেখানে বাংলাদেশ গ্রামভিত্তিক রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের প্রস্তাব করে, যাতে করে রোহিঙ্গারা পুনর্বাসনের পর নিরাপদ বোধ করে। মিয়ানমার সরকার বলে-কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যে ৪২ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধন করা হয়েছিল প্রত্যাবর্তনের জন্য, তাদের দিয়ে তারা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
আপাতদৃষ্টিতে বৈঠক বেশ ফলপ্রসূ বলেই মনে হয়েছিল। এর মাত্র কয়েকদিন পর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠক যেটি ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল, সেটা আর কখনোই হয়নি। এরপর থেকে মিয়ানমার সংঘাত ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ আবারও ভার্চুয়ালি দ্বিপাক্ষিক সংলাপে বসে। মিয়ানমারের সেনাসমর্থিত সরকারের ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো দুদেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ছিল এটি। এবারেরটি ছিল চীনের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়া, তবে ফলপ্রসূ কিছু এখনো দেখা যায়নি।
বর্তমানে ছয় লাখের মতো রোহিঙ্গা মিয়ানমারে বাস করছে (এর মধ্যে আবার দেড় লাখের মতো রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবেই বাস্তুচ্যুত) এবং মিয়ানমার সরকারের কোনো ইচ্ছা নেই এ সংখ্যা বাড়ানোর। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, সংখ্যা তো প্রাকৃতিকভাবেও বাড়তে পারে; তখন সরকার কী করবে? এক্ষেত্রে আগে থেকে কিছু বলা সহজ নয়। সামরিক সরকার হয়তো আবার দমনের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে সেটা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা চালাবে (যেমন, একাধিক সন্তানের জন্মদান নিয়ন্ত্রণ)।
মিয়ানমার সরকার সহসাই যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দিকে যাবে না, সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায়। বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে তদবির করেছে, যাতে করে এ সমস্যার শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায়, যার মধ্যে প্রতিবেশী ভারত এবং মিয়ানমারের বন্ধুরাষ্ট্র চীন রয়েছে। কিন্তু কোনো দেশই সেভাবে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। এর অন্যতম কারণ হলো, বাংলাদেশের ভূকৌশলগত অবস্থান এবং মিয়ানমারে চীন ও ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থ। গাম্বিয়া ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) মামলা করেছে।
মিয়ানমার জাতিগত হত্যার অভিযোগের বিপক্ষে আবেদন জানায়, পাশাপাশি এটাও দাবি করে-রোহিঙ্গা বিষয় এর আওতার মধ্যে পড়ে না। মিয়ানমারের দাবি আইসিজে নাকচ করে দেয়। এতে হয়তো নৈতিকতার বিজয় হয়েছে, তবে এ সমস্যার সমাধান সহসা হচ্ছে না। আইসিজিতে কোনো মামলার বিচারে অনেক লম্বা সময় লাগে এবং তাদের সফলতার হারও কিন্তু খুব বেশি নয়। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস ইতোমধ্যে সাত দশক পথ পাড়ি দিয়েছে; কিন্তু দুঃখজনকভাবে এর কার্যকারিতা আগের থেকে কমে গেছে।
এছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে না, সেটাও নিশ্চিত। চীন ও রাশিয়ার কারণে সেটা সম্ভব নয়। তাছাড়া ইউএনএইচসিআরের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা খুব একটা শক্তিশালী নয়। কোনো সরকার যখন স্বেচ্ছায় কোনো জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে অনীহা প্রকাশ করে, সরকার নিজেই পদ্ধতিগতভাবে মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়-এসব বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের ভূমিকা খুব একটা কার্যকর নয়।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা এবং আরাকান আর্মির সক্রিয়ভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মন্তব্য বিদ্যমান রোহিঙ্গা সমস্যায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা চলছে। সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মির ঘাঁটি। সেখানেই জান্তা বাহিনী ক্রমাগত মর্টারশেল ও গোলা ছুড়ছে। বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে প্রবেশ করছে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার। ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা গোলা সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরিত হয়ে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ
কই দিনে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবক পা হারায়। তাদের ছোড়া মর্টারশেল ও গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এরপর বাংলাদেশ সরকার থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে কয়েকবার ডাকা হয়েছে। মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনীর অধিকারী, যারা খুবই প্রশিক্ষিত এবং পরীক্ষিত। বাংলাদেশ সরকার বারবার বলে আসছে, তারা কোনো সামরিক সংঘাত চায় না, শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে মানুষের মতামত দেখে যতটা আঁচ করা যায়, কিছু জনমত হয়তো বা সামরিকভাবে হস্তক্ষেপের পক্ষে।
জনপ্রিয় জনমত প্রাধান্য দেওয়া সবসময় ভালো নয়-কিউবান মিসাইল ক্রাইসিস এর জ্বলন্ত উদাহরণ। সত্তরের দশকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র কিউবাকে কেন্দ্র করে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল এবং দুই দেশের জনগণই সামরিক শক্তি প্রয়োগের পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জনএফ কেনেডি এবং সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী নিকিতা ক্রুশ্চেভ তৎকালীন জনমতকে পাশ কাটিয়ে কূটনৈতিকভাবে এর সমাধান করেছিলেন। ইতিহাসবিদরা এখনো তাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
মিয়ানমার এমন একটি রাষ্ট্র, যার সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক আলোচনা কখনোই সহজ নয়। মিয়ানমার সবসময়ই সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রভাবিত একটি রাষ্ট্র। তবে দেশটির ভেতরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সামরিক অভ্যুত্থানের পর রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের বৈরী মনোভাবে পরিবর্তন লক্ষণীয় ও মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনের প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সমর্থন মুসলিম রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের বৌদ্ধদের মধ্যে ঐক্যের মেলবন্ধনের ইঙ্গিত বহন করে ও সাম্প্রতিককালের সীমান্তে উত্তেজনা বাংলাদেশের জনগণের মনে আরও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। মিয়ানমারের সংলগ্নে অবস্থিত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মানুষের মনে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বোধ কাজ করছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বর্তমান পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির পুনর্মূল্যায়ন করে অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতি প্রণয়ন করতে হবে। মিয়ানমারের সরকারবিরোধী পক্ষ এনইউজির (ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট) সঙ্গেও দরকষাকষির সক্ষমতা বজায় রাখতে হবে। ভবিষ্যতে শুধু মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতির ওপর ভরসা করা যাবে কিনা, সেটা ভাবার বিষয়। তবে আশা করে যায়, এনইউজি যদি ক্ষমতায় আসে, সেক্ষেত্রে তাদের বা সু চির ভূমিকা এবার ভিন্ন হবে। যদিও এটা হলো ভবিষ্যতের কথা। বর্তমানে মিয়ানমারে যুদ্ধরত আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের প্রতি সংবেদনশীল মনে হচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং এর বিনিময়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে আরাকান আর্মি স্বীকৃতি চাচ্ছে।
আমরা মনে করি, আরাকান আর্মির দেওয়া প্রস্তাবে বাংলাদেশ সরকারের সাড়া দেওয়া উচিত হবে না। তবে আরাকান আর্মির ভবিষ্যৎ পরিণতির সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি জড়িয়ে পড়বে, এটা বলা যায়। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উচিত হবে মিয়ানমারের সুশীল সমাজের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে একটি অ্যালায়েন্স তৈরি করা, যারা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি এবং প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে চাপ তৈরি করতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশের সরকারও সুশীল সমাজকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা, সাহায্য সংস্থা, মানবাধিকার ও উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসন নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের সঙ্গে নিয়ে একটি অ্যালায়েন্স তৈরির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কার্যকর চাপ প্রয়োগের ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
সামরিক সংঘাত কোনোভাবেই কাম্য নয়, আলোচনার টেবিলে সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশকে আরও একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে-মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার হলো চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন কার্যকর করতে এসব ব্যবসায়িক অংশীদার দেশের সঙ্গে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে, যাতে করে তারা মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার জন্য সেদেশের সামরিক বাহিনীকে বাংলাদেশের বোঝা দরকার; প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে ঘন ঘন আলোচনা করা যেতে পারে। মিয়ানমার সরকার, সামরিক বাহিনীর মনস্তত্ত্ব, তাদের জাতিগত সংঘাত, অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাদের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক-এসব ব্যাপারে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত গবেষণা প্রয়োজন। আলোচনার টেবিলে বসার আগে পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রস্তুতি নেওয়া থাকলে বাংলাদেশ সুবিধা আদায় করতে পারবে। সেই সঙ্গে এখন আলোচনার টেবিলে কে বা কারা থাকবে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনার কৌশল কী হবে, সেটি পুনরায় পর্যালোচনা করা উচিত। আলোচনা প্রক্রিয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নাগরিক সমাজকেও অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা, গেলেও কীভাবে-সেটিও নির্ধারণ করতে হবে।
মোহাম্মদ এম সালেহীন : সহযোগী অধ্যাপক, সেন্টার ফর পিস স্টাডিস (সিপিএস), আর্কটিক ইউনিভার্সিটি অফ নরওয়ে
মিজানুর রহমান : পিএইচডি ফেলো, সেন্টার ফর পিস স্টাডিস (সিপিএস), আর্কটিক ইউনিভার্সিটি অফ নরওয়ে
Posted ২:৫৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta