কক্সবাংলা রিপোর্ট(২২ ডিসেম্বর) :: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯ লাখেরও বেশী রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখনও চলছে নিবন্ধন কার্যক্রম। তাহলে কতসংখ্যক রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে ? অনুপ্রবেশ বন্ধ না হওয়ায় প্রশ্ন- আরও কত রোহিঙ্গা আসবে টেকনাফ-উখিয়ায়।
নির্যাতন বন্ধের পাশাপাশি প্রত্যাবাসনে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরও কেন এমন রোহিঙ্গা ? কেনই বা এখনও অবারিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত, এমন অনেক প্রশ্ন স্থানীয় অধিবাসীদের।
প্রত্যাবাসনে বোঝাপড়া যেটুকু হয়েছে তাতে করে মিয়ানমারের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হবে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনও এখনও বন্ধ। ওখানকার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সূত্র বলছে, বর্তমানে যারা রয়েছে তাদের বরং ধরে রাখতে চায় মিয়ানমার সরকার। কিন্তু রোহিঙ্গারা এতটাই বাংলাদেশমুখী যে, তাদের থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
এদিকে, অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় কক্সবাজারের দুটি উপজেলা এখন হয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত। এর ফলে মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে সেখানে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিকরা। অস্থায়ী আবাসনে অনেক জায়গা বেদখল হয়ে যাওয়ায় এ বছর শীত মৌসুমের ফসল চাষাবাদ করতে পারেননি অনেক চাষী। তাদের ওপর পড়েছে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিজনিত বাড়তি চাপও।
Posted ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta