কক্সবাংলা রিপোর্ট(২০ ডিসেম্বর) :: রোহিঙ্গা নির্যাতনকে জাতিগত নিধন বলে মন্তব্য করে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি এলদেরিম বলেছেন, মিয়ানমারের অসহায় মানুষকে আশ্রয়ও মানবিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো এবং নিরাপদে বসবাসের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সব মহলের একযোগে কাজ করা জরুরি।
২০ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।এসময় তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ ও নির্যাতনের মুখে প্রত্যাবাসনে উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বানও জানান।
এর আগে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টার দিকে বিমানে করে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছান। ওখান থেকে তিনি সারাসরি যান উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।সেখানে তুরস্ক সরকার পরিালিত একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে দুটি অ্যাম্বুলেন্স হস্থান্তর করেন।
এসময় তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত সেদেশের ৫টি সরকারী এবং ২৭টি সাহায্য সংস্থা এনজিও’র খোজ খবর নেন।পরে ক্যাম্পে আশ্রিত নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।এসময় রোহিঙ্গা নারীরা ফার্স্ট লেডিকে জড়িয়ে কানানায় ভেঙ্গে পড়েন।
এসময় তিনি রোহিঙ্গা নারীদের সান্তনা দেন।এরপর বিনালি এলদেরিম উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এসে রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন এবং শিশুদের খেলনা বিতরণ করেন।এসময় তিনি ক্ষণিক সময়ের জন্য রোহিঙ্গাদের সাথে সময় কাটান।
পরিদর্শনকালে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি এলদেরিম এর ফার্স্ট লেডি,বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব ডিআজি চট্রগ্রাম মো: মনিরুজ্জামান মনি, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, কক্সবাজার এমপি সাইমুম সরোয়ার কমল, পুলিশ সুপার কক্সবাজার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, আরআরআরসি, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের, পুলিশ বিশেষ শাখার মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাও এনজিও সংশ্লিষ্টরা সঙ্গে ছিলেন।পরে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দুপুর ২টায় নিজস্ব বিমান যোগে তুরস্তের উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য রোহিঙ্গা ইস্যূতে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান ও উপপ্রধানমন্ত্রী বেকির বোজদাগ কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের পর এবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি এলদেরিম রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে গেলেন। আর নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের পর তুরস্কই হচ্ছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ত্রাণ সহায়তাকারী দেশ।
Posted ৭:০২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta