বিশেষ প্রতিবেদক(১২ জানুয়ারী) :: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার। এজন্য রাখাইন রাজ্যের মংডুতে বসতি নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ১শ’ ৫০ জন করে ফেরত নেবে মিয়ানমার। তবে মিয়ানমারের গণমাধ্যমকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর সুনির্দিষ্ট সময় জানাননি দেশটির অভিবাসন বিভাগের প্রধান।
গত আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। নভেম্বর নাগাদ ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন ক্যাম্পে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ২৩ নভেম্বর সই হওয়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি অনুযায়ী দু’মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। সে লক্ষ্যে রাখাইন রাজ্যের মংডুতে সাময়িক আশ্রয়ের জন্য ৭ই জানুয়ারি বসত নির্মাণ শুরু হয়েছে বলে মিয়ানমারের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে মিয়ানমার সরকারের কাছে ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড বা এনভিসির জন্য আবেদন করতে হবে। এনভিসি যাদের আছে কেবল তাদের ফেরত নেওয়া হবে। প্রতিদিন ১শ ৫০ জন করে ফেরত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অভিবাসন বিভাগ।
রাখাইনে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ায় পালিয়ে আসা অনেক রোহিঙ্গারই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এ কারণে এনভিসির জন্য আবেদন করতে পারছেন না অধিকাংশ রোহিঙ্গা।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ওই দেশের সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতনের মুখে গত বছরের ২৫ আগস্টের পর আরেক দফা রোহিঙ্গার ঢল নামে বাংলাদেশের দিকে। এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে এসেছে। কক্সাবাজারের টেকনাফ, উখিয়াসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাকে অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে রাখা হয়েছে। নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে রয়েছে।
Posted ৩:৪৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta