কক্সবাংলা ডটকম(১৪ জুন) :: লন্ডনের নটিংহিলের কাছে লাটিমার রোডে ২৭ তলা গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত আরও ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দমকল বাহিনীর বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো ২৭ তলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, এখনও অনেকের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সাদিক খান যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙ্গে পরার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভবনটিতে আগুন লাগার পরপরই সেখানেই পৌঁছেছে দমকল বাহিনীর ৪০টি গাড়ি এবং ২০০ কর্মী। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে কয়েক ঘণ্টা পরে আগুনের বেগ কমাতে সক্ষম হন। এর পর একে এক উদ্ধার করা হয় ভবনে থাকা ১২০টি ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের।
বিবিসির স্থানীয় প্রতিবেদক অ্যান্ডি মুরের বরাতে বলেছে, আগুনের তীব্রতা এতোটাই বেশি ছিলযে আশঙ্কা করা হচ্ছে ভবনটি ধসে পড়তে পারে।
মুসলিমদের কারণে ‘গ্রেনফেল টাওয়ার’ অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রাণে বেঁচেছে বহুমানুষ
রমজান মাসে ভোরে ঘুম থেকে উঠা মুসলমানদের কারণে গ্রেনফেল টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহত হওয়া থেকে বহু মানুষ রক্ষা পেয়েছেন।
পশ্চিম লন্ডনে লাটিমার রোডের ২৭ তলা ‘গ্রেনফেল টাওয়ার’ ভবনের বাসিন্দারা বলেছে যে তারা অনেকেই ফায়ার অ্যালার্ম শুনতে পান নি। কিন্তু তাদেরকে প্রতিবেশীরা খুব দ্রুত জাগিয়ে দেয়, যাদের মধ্যে বেশকিছু প্রতিবেশী মুসলমান, যারা রমজানের কারণে ভোররাতেই ঘুম থেকে জেগে উঠেছিল। তারাই আসলে প্রথম ভবনে আগুন দেখেছিল।
উল্লেখ্য, মধ্যরাতের পরই ভয়াবহ আগুন লাগে যখন ওই ভবনে বেশির ভাগ ফ্ল্যাটের মানুষ ঘুমন্ত ছিল।
৩৩ বছর বয়সী আন্দ্রে ব্যারোস ইনিডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষকে ঘর থেকে বের করে আনতে মুসলমানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমি যাদেরকে দেখেছি তাদের বেশির ভাগই ছিল মুসলিম। তারা অন্যদের খাবার ও কাপড় দিয়েও সাহায্য করেছে। এখনো অনেক মানুষ ভবনের ভেতরে থাকা তাদের বন্ধু ও আত্মীয়র খোঁজ করছে বলে জানান আন্দ্রে।
ভবনের পাশেই অবস্থিত ক্লেমেন্ট চার্চে থাকা শরণার্থী মানুষগুলোকে পানি, খাদ্য ও কাপড় দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকে। আরেকটি দল বাইরে অপেক্ষারত মানুষদের পানির বোতল দিয়ে সহায়তা করছে। আন্দ্রে জানান, সবাই একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। এইটি সত্যি অভূতপূর্ব যে সবাই সবার পাশে দাঁড়াচ্ছে। ইনডিপেনডেন্ট।