শাহাব উদ্দিন,লামা(৬ জুন) :: মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে ও অপারগতা দেখালে মোঃ এহসান (৩০) নামে এক বাগান শ্রমিককে প্রাণনাশের হুমকী দিয়েছে মালিকপক্ষ। অসহায় ও নিরীহ শ্রমিক নিরুপায় হয়ে আত্মরক্ষার জন্য বিষয়টি আদালত ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের অবহিত করে। এহসান বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকার মোঃ আব্দুস সালাম এর ছেলে।
বাগান শ্রমিক মোঃ এহসান বলেন, আমি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বনপুর রাস্তার মাথায় অবস্থিত আলহাজ্ব রোস্তম শাহরিয়ার এর বাগানে কাজ করি। প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম, মোঃ সাজ্জাদ, মোঃ রাসেল, আব্দুর রহমান ও আপ্রু চিং মার্মার সাথে আলহাজ্ব রোস্তম শাহরিয়ার জায়গা ও সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
আমি গত ২০ মে শনিবার দিনে কাজে চকরিয়ায় যাই। সেখান থেকে রাতে বাগানে ফিরে এলে দেখি মালিকের ছেলে মোঃ সাফোয়ান সাফি (২৩) ও আরো কয়েকজন লোক বাগানে রয়েছে। বাগানের খামার বাড়ির টিন ও কয়েকটি চারা গাছ কাটা পড়ে আছে। সাফোয়ান বলে, ম্যানাজার আক্তার হোসেন, আমার মা হোসনে আরা বেগম ও খালা জাহানারা বেগমকে বিবাদীরা মেরেছে। সে আমাদের ৪জনকে রাত ৮টার দিকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করে।
আমি ঘটনাস্থলে ছিলামনা এবং কোন আঘাত পায়নি। অথচ আমাকে হাসপাতালে ভর্তি দেখিয়ে মোট ৪ জনের নামে মিথ্যা ডাক্তারী সার্টিফিকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের নামে লামা থানায় মামলা রুজু করে। লামা থানা মামলা নং ০৯, তারিখ- ২২ মে ২০১৭ইং। বর্তমানে মামলাটি লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলমান রয়েছে।
মূলত জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে এই মামলার সৃষ্টি। এদিকে তাদের শেখানো কথামতে আদালতে স্বাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকী সহ অন্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রাণীর করবে বলে হুমকি দিচ্ছে সাফোয়ান সাফি। তাছাড়া যে দা দিয়ে খামার ঘর ও চারাগাছ কাটা হয়েছে সেই দা আমি নিজে মালিকের অনুমতিতে ক্রয় করেছিলাম।
মামলার আসামী আপ্রু চিং মার্মা জানায়, আমি ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার। আলহাজ্ব রোস্তম শাহরিয়ার ও তার পরিবার এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা না। সে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাদের অবৈধ কাজে সাড়া না দেয়ায় এবং সত্যের পক্ষে কথা বলায় আমাকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ শহীদ বলেন, ডাক্তারী কাগজপত্র ও স্বাক্ষীদের কথা মতে মামলা তদন্ত করেছি। মিথ্যা সার্টিফিকেটের বিষয়ে আমি জানিনা।
মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মোঃ জাফর বলেন, বাদী পক্ষের স্বাক্ষী এহসান স্ব-শরীরে হাজির হয়ে ডাক্তারী সার্টিফেকেট ও মামলাটি সাজানো বলে আমাদের জানায়। বুধবার এহসান লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বক্তব্য পেশ করবে।
Posted ১১:৫১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta