আব্দুল হামিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি(১৫ মে) :: বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সাপেরঘাড়া নামক স্থানের গহীন বনে অবৈধ করাত কল স্থাপন করে চিরাই ও পাচার হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের হাজার হাজার ঘনফুট মূল্যবান কাঠ ও সরকারি পতিত খাস ভূমির মূল্যবান কাঠ। এতে সরকার হারাচ্ছে লাখ টাকার রাজস্ব।
সরজমিনে এই প্রতিবেদক উক্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, বাইশারী সীমান্ত সংলগ্ন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত মোজাহের আলমের পুত্র মনু আলম (প্রকাশ মনু) বিগত ৬/৭ বছর যাবত নিজের ক্ষমতাবলে স্থানীয় প্রশাসন ও হুমরা চুমরাদের ম্যানেজের মাধ্যমে একছত্র অধিপাত্য বিস্তারের মাধ্যমে সরকারের অনুমতি বিহীন অবৈধ্য করাতকল বসিয়ে বনের মূল্যবান কাঠ ধ্বংস করে যাচ্ছে। এতে উজার হচ্ছে বনাঞ্চল, সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব। এসব কাঠ রাত-দিন সমান তালে পাচার হচ্ছে ডুলাহাজারা ও চকরিয়া এলাকার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাছির বলেন, করাত কলটি সম্পূর্ণ অবৈধ হলেও তার বিরুদ্ধে মূখ খোলে কথা বলার সাহস কারো নেই। তার এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকেই মিথ্যে মামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান স্থানীয় অনেক বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাগান মালিক ডুলাহাজারা কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম ও গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক মকছুদুল আমিন বলেন, এই অবৈধ করাত কলের আশপাশে তাদের বনজ বাগান রয়েছে। প্রতিদিন অবৈধ করাত কলের কারণে তাদের বাগান উজার করে চলছে কাঠ চোরা কারবারিরা। তার অবৈধ করাত কলে তাদের বাগানের কাঠ চিরাই থেকে বিরত থাকতে বলায় উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।
স্থানীয় অসংখ্য বাসিন্দাদের অভিযোগ, অবৈধ করাত কলের কারণে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও স্থানীয় লোকজনের বনজ বাগান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
করাত কল মালিক মনু আলম বলেন, কাগজপত্রের জন্য তিনি আবেদন করেছেন। কিছুদিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন।
সরজমিনে গিয়ে আরো জানা যায়, বাইশারী সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় বাইশারীর সাংগু রেঞ্জের বনাঞ্চলও অবৈধ করাত কলের কারণে উজার হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে লামা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদ আলম মুঠোফোনে বলেন, তিনি সদ্য যোগদান করেছেন, তাই বিষয়টি অবগত নন এবং সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
Posted ৬:৫১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta