শাহাব উদ্দিন,লামা(৯ আগষ্ট) :: বান্দরবানের লামায় খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সরকারী “ভিজিডি কর্মসূচীর খাদ্যশস্য”। চালের বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভিজিডি’ ২০১৭ কর্মসূচির চাল লেখা আছে। প্রতিটি বস্তার ওজন ৩০ কেজি।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচীর এই খাদ্যশস্য খোলা বাজারে বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন লামা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খীসা
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লামা বাজার কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের পশ্চিম পাশে নিউ রনি স্টোর এর দোকানের গুদামে ৩০ কেজি ওজনের ১৮৪ বস্তা ভিজিডি কর্মসূচীর চাউল মজুদ রয়েছে।
এবিষয়ে নিউ রনি স্টোরের মালিক রনি কর্মকার জানায়, চালগুলো আলীকদম খাদ্য গুদাম থেকে মঙ্গলবার বিকেলে আব্দুর রহিম নামক এক ডিলার লামা বাজারে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে সে কোন প্রকার ক্যাশ মেমো দেখাতে পারেনি। এই চাউল বৈধ না অবৈধ প্রশ্ন করলে রনি জানায় এইটা সরকারী চাউল জানি তবে বৈধ না অবৈধ বলতে পারবনা।
আলীকদম খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মংহ্লাপ্রু মার্মা জানিয়েছেন, চালগুলো আলীকদম খাদ্য গুদাম থেকে নেওয়া হয়েছে।
লামা বাজারের রনি স্টোরের মালিক রনি কর্মকার চালের বস্তা পরিবর্তন করার সময় উপস্থিত জনগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) দোকানে গিয়ে চালের গুদাম তালা মেরে সিলগালা করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু সাংবাদিককে জানিয়েছেন, চালের বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
এবিষয়ে লামা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খীসা বলেন, আমি বান্দরবানে রয়েছি। তবে লামা থানাকে বলেছি চাউল গুলো আটক করার জন্য।
বান্দরবান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্তমান অর্থবছরের ডিও ছাড়ার মত কর্মসূচির কোন বরাদ্দ আসে নাই। বন্যার কিছু চাল জিআর খাতের বরাদ্দ ছাড়া হয়েছে। গত ৩০ জুন ভিজিডি কর্মসূচির সর্বশেষ ডিও ছাড় করা হয়েছে। জুনের পরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কোন চালের ডিও প্রদান করা হয় নাই।
বান্দরবান জেলা প্রসাশনের সহকারী জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম বলেন, খোলা বাজারে ভিজিডি’র চাউল বিক্রয় আইন সংগত নয়। আমি লামা উপজেলা প্রশাসনকে দ্রুত বিষয়টি আমলে নিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলছি।
Posted ১০:৫০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৯ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta