কক্সবাংলা ডটকম(২১ ডিসেম্বর) :: যত ফুল তত ভুল কন্টক জাগে/ মাটির পৃথিবী তাই এতো ভালোলাগে…জাতীয় কবির এই গানের মতো মাটির পৃথিবীকে ভালোবেসেই মাটিতে মানুষ নানারকম অর্থকারী ফসল চাষ করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ফুল চাষ। ফুলের প্রতি অন্যরকম এক ভালোবাসা থেকেই মানুষ ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়। কেউ ফুল চাষকে অর্থনৈতিক উপার্জনের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন আবার কেউ ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে।
যারা গ্রামের বাস করেন তাদের অনেকে বাড়ি সামনে উঠোনে কিংবা রাস্তার ধারে ফুলগাছের চাষ করে থাকেন। তবে যাদের শহুরে জীবন, তারা ফুল চাষের জন্য বাড়ির বাড়ান্দাটাকেও বেছে নিতে পারেন।
শীতের ফুলের মধ্যে গাদা, ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকা, কসমস, ইত্যাদি ফুল ফোটে। এছাড়াও রয়েছে নানা রকম বিদেশী ফুল। শীতকালীন ফুলের বীজ, চারা, কলম বা কন্দ রোপণের উপযুক্ত সময় হলো- অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস। উঁচু দোআঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য বেশি উপযোগী। তবে যারা চারা বানানোর সময়টি মিস করেছেন তারা কিনেও নিজের বাগান সাজাকে পারেন।
এই শীতে আপনার বাগানের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলতে লাগাতে পারে যে ফুলের গাছগুলো তার মধ্যে গাঁধা অন্যতম। শীতকাল মানেই রাশি রাশি গাঁদা ফুলের সমারোহ। এই ফুলের সবথেকে ভালো দিকটি হলো মাটিতে লাগানোর পাশাপাশি গাঁদা ফুল টবেও লাগানো যায়। আর সামান্য যত্নে বাড়ির ছাদ, বারান্দা বা আঙ্গিনায় রাশি রাশি গাঁদা ফুলে ছেয়ে যাবে।
বাগানের পরিবেশ সুন্দর আর মনোরম করে তুলতে কসমস ফুল খুব ভালো অবদান রাখতে পারে। তাছাড়া শীতের ফুলের মধ্যে এই ফুলটি ও বেশ জনপ্রিয়। তাই যদি শীতে বাগান ফুলের নানা রঙে সাঁজাতে চান তাহলে লাল, সাদা, গোলাপি রঙের কসমস ফুলের চারা লাগাতে ভুলবেন না।
শীতকালীন আরও একটি চমৎকার ফুলের নাম হচ্ছে চন্দ্রমল্লিকা। সাদা, গোলাপি ও হালকা মিষ্টি রঙের এই ফুলগুলো বাগানের সৌন্দর্য সত্যিই কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
রূপের পসরা সাজিয়ে এই শীতে বাগানে যখন ফুটবে শত শত ডালিয়া ফুল তখন আপনার বাগানের রূপের ছটা বেড়ে যাবে আরও বেশি পরিমাণে। সুন্দর আর দৃষ্টি নন্দন এই ফুল নীল আর সবুজ রং ছাড়া প্রায় সব রঙেরই হয়ে থাকে।
এসব ফুল চাষে যা লাগবে:
শীতের ফুল লাগানোর জন্য ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি মাপের টব যথেষ্ট। ছোট আকৃতির গাছ যেমন গাঁদা, পিটুনিয়া, গাজানিয়া ইত্যাদি ছোট টবে লাগানো যেতে পারে। তবে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা এগুলো ১০-১২ ইঞ্চি টবে লাগানো যায়।
প্রতি টবের জন্য দোআঁশ মাটির সঙ্গে তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণ জৈব সার বা পচা গোবর মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। এর সঙ্গে একমুঠো হাড়ের গুঁড়ো, দুই চা-চামচ চুন, দু মুঠো ছাই মেশাতে পারলে ভালো হয়। এতে টবের মাটি দীর্ঘদিন উর্বর থাকবে।
যেখানে পাবেন:
বিভিন্ন স্থানে শীতকালীন ফুলের চারা পাওয়া যায়।
Posted ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta