কক্সবাংলা ডটকম(১৯ মে) :: সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমশক্তি রফতানির বাধা দূর করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটিতে শিগগিরই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে আশা করছে ঢাকা। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে আবারও সংযুক্ত আমিরাতে শ্রমশক্তি রফতানি শুরু করতে সক্ষম হবে সরকার।
তবে আমিরাত কর্তৃপক্ষ ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তাদের দিক থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকার কথা জানালেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। আমিরাতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস ও ন্যাশনাল পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
দক্ষ ও অদক্ষ খাতে ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আমিরাতে। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশি নতুন শ্রমিক নিয়োগে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে অবস্থানরতদের কর্মস্থল পরিবর্তনেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। দেশটিতে যে সব কারণে শ্রমিক নিয়োগে ভিসা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ‘অপরাধ প্রবণতা’র সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দেশটির সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে জানান, বর্তমানে ৭০০ থেকে ৮০০ বাংলাদেশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে কারাভোগ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, অপরাধপ্রবণতা রুখতে প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর সরকার এরইমধ্যে থ্রি-টায়ার নিরাপত্তাপরীক্ষা চালিয়েছে। এ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
খালিজ টাইমস-এর ওই প্রতিবেদনে মোহাম্মদ ইমরানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বন্ধ ভিসা চালুর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে নিরাপত্তা ইস্যুতেও কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ‘আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলমান আলোচনার সাপেক্ষে শ্রমিকদের জীবনবৃত্তান্ত যাচাই ও নিরাপত্তাপরীক্ষার ওপর কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমিরাতে থাকা বাংলাদেশিদের অপরাধ করার হার বেড়ে যাওয়ার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমরা আরব আমিরাত সরকারকে আশ্বস্ত করেছি। বলেছি, এ সমস্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ইমরান।
গত ১৬ মে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী সাকর গোবাশের সঙ্গে আবুধাবিতে বৈঠক করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। বৈঠকে উপস্থিত ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও ছিলেন। বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরও কর্মী পাঠানোসহ তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
২০১৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারিগরি বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আমিরাত কর্তৃপক্ষের সরাসরি কোনও প্রতিশ্রুতির কথা জানা যায়নি। কেবলই বলা হয়েছে প্রচেষ্টার কথা। আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশি কর্মীদের
Posted ৭:০৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Chy