কক্সবাংলা ডটকম(২২ জুলাই) :: সম্পর্ক অনেক বড় একটা বিষয়, তার সাথে জড়িয়ে থাকে বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী এবং আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবও। তাই চাইলেই সম্পর্ক ত্যাগ করা যায় না, সব সম্পর্কের আবার ভাঙনও হয় না। যেমন ধরুন বিয়ে বা দীর্ঘদিনের প্রেম। কিন্তু যে সংসারে সন্তান আছে দুই জনের, সেই সংসার ভাঙা যায় না। আর ভাঙা যায় না বলেই দু্টি মানুষ আজীবন তিক্ত মন নিয়ে কষ্টে সৃষ্টে টেনে যেতে থাকেন সংসারের ঘানি।
বিয়ের পর ভালোবাসা কমে যেতে থাকে। সবচাইতে সমস্যা হয় যারা প্রেম করেই বিয়ে করেন তাদের জন্য। দাম্পত্য জীবনে পা দেয়ার পর সুখটা দূরে সরে যেতে থাকে এবং একে অপরকে দোষারোপই বেশি করেন। অথচ বিয়ের পর একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ দাম্পত্য জীবন গঠনে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সমান ভূমিকা থাকে।
তাই সংসার সুখী করতে দুইজনেরই কিছু বিষয় মেনে চলার দরকার-
বদলান দৃষ্টি ভঙ্গি
খারাপ বিষয়গুলোকে দেখা বাদ দিন। খারাপ দিক খুঁজতে গেলে অসংখ্য খারাপ দিক বের হবেই। তার বদলে জোর করে হলেও দুজনের সম্পর্কের পজিটিভ দিকে তাকান। জীবনসঙ্গী মানুষটার ভালো ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবুন যেগুলোকে আপনি কখনো ভালোবাসেন।
নিজের একটা সীমারেখা
নিজেকেও কিছু সীমারেখা দিন। যেমন কোন কাজগুলো আপনি করবেন না বা করতে পারবেন না সেই বিষয়ে সিদ্ধান নিন। চেষ্টা করুন নিজের নেগেটিভ ব্যাপারগুলোকে এড়িয়ে যেতে।
দায়িত্ব পালন
সম্পর্কের মাঝে ভালোবাসা থাকুক বা না থাকুক, দায়িত্ব পালনে যেন অবহেলা না হয়। দায়িত্ব পালন করুন নিষ্ঠার সঙ্গে। মাঝে মাঝে এই ব্যাপারটিই সম্পর্কে সুন্দর করে তোলে।
সাহায্য নিতে লজ্জা নয়
নিজের ঘনিষ্ঠ মানুষদের সাহায্য নিন। হতে পারে পরিবারের কেউ, হতে পারে বন্ধু। নিজের কষ্টের কথা ও মনের কথা শেয়ার করুন। তাদের পরামর্শ নিন। অনেকটাই ভালো লাগবে।
ক্ষমা করুন
জীবনসঙ্গীকে ক্ষমা করে দিন, একদম মন থেকে ক্ষমা করে দিন। যেহেতু তাকে ছেড়ে আপনি যেতে পারছেন না সবকিছুর জন্যই ক্ষমা করে দিন।
সময় দিন
সম্পর্ক যখন খুব বেশী তিক্ত হয়ে যায় তখন কথা বাড়িয়ে লাভ নেই আসলে। বরং সময়কে যেতে দিন নিজের মত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
পরিবর্তনকে মেনে নিন
আপনাদের সম্পর্কটি এখন এমনই-এই সত্যটি মেনে নিন। সঙ্গে এটাও মেনে নিন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই বদলে যায়। আজকে যা এমন আছে সেটা আগামীকাল আবার অন্যরকম হয়ে যাবে।
Posted ২:১৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta