কক্সবাংলা ডটকম(২৪ জানুয়ারি) :: অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। সময় যত গড়াচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে।
এরই মাঝে ১/১১ সরকারের সময়কার আবারও আলোচনায় উকি দিচ্ছে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু ক্ষেত্রে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এরপর একাধিক উপদেষ্টা এ নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেছেন। কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও।
সরকারের নিয়োগকর্তা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন দল নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে।
সরকারে যুক্ত থেকে নতুন দল গঠন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক দলগুলো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের কাজে নিরপেক্ষতা হারাতে বসেছে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষ ধরে নেবে এই সরকারের দ্বারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হবে না।
তাদের মতে, সরকারের ছত্রছায়ায়া রাজনৈতিক দল গঠন হবে সরকারের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এতে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। তাই নির্বাচনের দিনক্ষণ যত সামনে আসবে, সরকারের অবস্থান ততই পরিষ্কার হবে। আর রাজনৈতিক বিভেদও বাড়তে থাকবে।
গত বুধবার বিবিসি বাংলা অনলাইনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার যদি পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা পর্যন্ত থাকবে।
তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। এর এক দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার আরও কড়া অবস্থানে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না।
বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যে গভীরতা অনুধাবন করে কঠোর সমালোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটি এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে।
সরকারের এই উপদেষ্টা বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি কয়েক দিন আগে ‘মাইনাস টুর’ আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি এক-এগারো সরকারের প্রস্তাব করছে।
এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না।
এই রাজনৈতিক বক্তব্যের বাহাসের মধ্যেই ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার সময়সীমা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসবে।’
গত ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বিতাড়িত হওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তখন থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলে আসছেন, নতুন দল গঠনের জন্যই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিচ্ছে না।
আর নির্বাচনের রোডম্যাপ না পাওয়ায় সরকারের প্রতি বিএনপিসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী দলগুলোর মধ্যে অবিশ^াস সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে।
একই সঙ্গে সরকারের কাজে রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ অনুচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল এই বাহাসে যোগ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও। তিনি বিএনপির সমালোচনা করে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল একাধিক পোস্ট করেছেন।
এক পোস্টে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ও জুলাই স্পিরিট ধারণকারী ছাত্র-জনতার সম্মিলনে যখন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান হওয়ার আভাস পেল, ঠিক তখন বিএনপি সেটিকে চিহ্নিত করল তাদের দলীয় স্বার্থের হুমকি হিসেবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিএনপি এ কথা ভুলে গেল, গণ-অভ্যুত্থানের ফলে গঠিত হওয়া সরকারের ম্যান্ডেট ষাট-সত্তর ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়া রাজনৈতিক দলের চেয়েও বেশি।
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের কাঠামোগত পরিবর্তন করার সময় ও সুযোগ এলো, অথচ বিএনপি দেশ পুনর্গঠনের এই সুযোগকে অবমূল্যায়ন করে হাজির হলো ১/১১ সরকারের ফর্মুলার আলাপ নিয়ে।
এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ বলেন, তথ্য উপদেষ্টা এক-এগারো ইঙ্গিত কীভাবে পেলেন?
বিএনপি মহাসচিব ঠিকই বলেছেন, যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন না করে তাহলে নিরপেক্ষ সরকার দরকার হতে পারে; এটাতো সঠিক কথাই বলেছেন।
তিনি বলেন, ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। দল তারা গঠন করতেই পারে। গণতান্ত্রিক দেশে দল গঠন হবে, সেটা দোষের কিছু না।
তবে সরকারের স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া দরকার, নতুন রাজনৈতিক দলের সরকারের কোনো সহযোগিতা থাকবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, এরই মধ্যে এই (অন্তর্বর্তী) সরকার তাদের নিরপেক্ষতা সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
এ রকম চলতে থাকলে কিছু দিন পর মানুষ ভাববে এই সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার কোনো সক্ষমতাই নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সঙ্গে আমি খুবই একমত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলতে মোটা দাগে এমন একটা সরকার বোঝায়, যারা নির্বাচন পরিচালনা করবে; কিন্তু তাদের কেউ নির্বাচনে অংশ নেবে না। নিজেরা বা তাদের পরিচিত কেউ বা তাদের ক্লোজড কেউ নির্বাচনে অংশ নেবে না।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘যদি কেউ নির্বাচনে যায়, তাহলে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করে যাবেন।’ তার মানে সে তার এলাকা পুরো গুছিয়ে নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করবেন।
এটাতো হলো না। উনি এখন উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবেন শেষ মুহূর্তে পদত্যাগ করবেন- এটা তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাকে সমর্থন করল না।
মাসুদ কামলা বলেন, কিছুদিন আগে সারজিস বলেছিলেন- নাগরিক কমিটি যেটা আছে, সেটা কোনো রাজনৈতিক দল হবে না। নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে থাকবে।
এখন আবার আখতার বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে তারা দল করবেন। এখন তারা নিজেরাই কনফিউজড কী করবেন? আসলে তারা সুবিধাটা চান; কিন্তু কীভাবে চান, সেটা বুঝতে পারছেন না।
এখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা উপদেষ্টাদের কেউ কেউ সম্পূর্ণভাবে বর্তমান সরকারের সহায়তা নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে চাচ্ছেন।
আমি মনে করি, এই সরকার এরই মধ্যে তাদের নিরপেক্ষতা সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
এদিকে অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে চলা শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবসান ঘটে।
৭৭ বছর বয়সী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া এ মাসে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গেছেন।
এই পরিস্থিতিতে বহুল আলোচিত ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা নিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে দুই বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
সেই প্রচেষ্টাই ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা নামে পরিচিত। ওই সময় দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
তবে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয় এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি টানা ক্ষমতায় ছিলেন, যা ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেষ হয়।
তাঁর সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে। এই সরকার সংবিধান ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা করেছেন।
ড. ইউনূস বলছেন, কেবল সংস্কার শেষ করার পরই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচনে বিলম্ব বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে ১/১১ সরকারের সময়কার অভিজ্ঞতাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত আগস্টে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বলেন, ‘আমরা মনে করি, যারা ১/১১ সরকারের সময় আমাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিল এবং আমাদের দলকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারা এখন আবার সক্রিয় হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং দেশের উন্নতির জন্য আমাদের অবশ্যই এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ছাড়াও বিএনপির জন্য আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হল— তাঁর ছেলে তারেক রহমান। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে থাকা তারেক রহমান আইনি জটিলতার কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা একটি নতুন ‘রাজনৈতিক শক্তি’ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পাশাপাশি জুলাই–আগস্টে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের গণহত্যার পর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে তাদের দূরে রাখার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে।
তবে বিএনপি আশঙ্কা করছে, নির্বাচনে বিলম্ব তাদের জন্য একই পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সময় নষ্ট করছে এবং কিছু ‘অপ্রাসঙ্গিক বিষয়’ তুলে ধরে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আন্দোলনের পর অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে ইস্যু বানিয়ে জটিলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তবে ড. ইউনূসের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা নিয়ে উদ্বেগকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভোটিং সিস্টেম ভেঙে পড়েছে এবং তা পুনর্গঠন প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণেই সংবিধান, নির্বাচন এবং পুলিশসহ অন্যান্য খাতে সংস্কার প্রয়োজন।’
জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা সব সময় তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছি।’
তবে বিএনপি মনে করছে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এতটাও ভালো নয়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, মতবিনিময় বা সংলাপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব। তবে দুঃখজনকভাবে, সেটি হয়নি। এর ফলে আমাদের মধ্যে একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যত দিন যত যাচ্ছে, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ততই বাড়ছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই–আগস্টে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতারা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে কানাঘুষা হচ্ছে।
তবে ড. ইউনূস এবং তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে এমন কোনো দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা বা দল গঠনের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠন যাত্রা শুরু করে। এই সংগঠনের অনেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আসা।
সংগঠনের আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীও নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘যারা বলছেন, আমরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছি, তারা দেশে একটি সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে। আমরা এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নিইনি।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘ছাত্ররা প্রথমে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করুক। তারপর আমাদের কর্মকাণ্ড দেখুন এবং প্রয়োজনে আমাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলুন। এর আগে এ ধরনের মন্তব্য নিছক অনুমান।’