এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া(২২ জুলাই) :: জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্য ব্যবসায়ী ও মৎস্যজীবিদের নিয়ে এক আলোচনা সভা সকাল দশটায় চকরিয়া হক সুপার মার্কেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হক সুপার মার্কেট বাজার সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা লতিফুর রহমান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ। এসময় উপ¯ি’ত ছিলেন, চকরিয়া ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি আক্কাছ আহমদ, বাজারপাড়া হিন্দুপাড়া মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বশির আলম, বেলাল উদ্দিন, জামাল, কামাল, আবদুল আলী, মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী। এসময় আশরাফ আলী বলেন, জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পর মারা গেলে মালিক পক্ষ থেকে কোন ধরণের সাহায্যা সহযোগিতা পাওয়া যায়না। এছাড়াও জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন কোন ভাতা পায় না। জেলেদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার থেকে সার্বিক সহযোগী দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের অধিকার বির্নিমানে সতেষ্ট। সরকারের ঘোষনা, জাল যার, জলা তাঁর। কিন্ত বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৎস্যজীবিরা অনেক ক্ষেত্রে তাদের অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রভাবশালীরা জলদাল দখলে নিয়ে মাছ আহরণ করছে। এভাবে হলে মৎস্যজীবিরা রুটি-রুজির পথ হারাবে। বিষয়টি যাতে বেশিদুর গড়াতে না পারে সেইজন্য প্রশাসন এবং মৎস্যজীবিদেরকে সজাগ থাকবে।
প্রতিবছর সরকার মাছ আহরণ মৌসুমে মৎস্যজীবিদের বিনামুল্যে খাদ্য সরবরাহ দিচ্ছেন, যাতে দরিদ্র মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের মানুষ স্বাভাবিকভাবে জীবনধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে মৎস্যজীবিদের পরিচয়পত্র নিশ্চিত করেছে। তাদেরকে নিবন্ধনভুক্ত করে সরকারিভাবে সব ধরণের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
Posted ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta